রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও উপজেলা কবি ও সাহিত্যিক পরিষদের আয়োজনে ৪দিন ব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা শহিদ মিনার চত্বরে থেকে বই মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ও বীর প্রতীক মো. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলম, দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াদুদ, প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, উপজেলা কবি ও সাহিত্যিক পরিষদের সভাপতি ড. আবদুস সালাম লাভলু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যেখানে গুনী মানুষের কদর নেই, সেখানে জ্ঞানী মানুষ জন্মায় না। একাডেমী শিক্ষার উপর ভিক্তি করে জ্ঞান অর্জন করা যায়না, জ্ঞান অর্জন করতে হলে বিশিষ্ঠ কবি সাহিত্যিকদের লেখা বই পড়তে হবে। বেশি বেশি বই পড়লে, জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব এবং সে আলো ছড়িয়ে দিয়ে সমাজ উন্নয়নের অংশিদার হওয়া সম্ভব। কবির ভাষায় বক্তারা বলে, যতই বই পড়ি, ততই মনে হয় যেন, এখানো কিছু পড়িনি আর। যতই পড়িবে, ততই ভূলিবে, তবুও পড়িতে হইবে!। যতোই পড়িবে, ততই জানিবে।
আলোচনা সভা শেষে নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলমের লেখা ’হিমালয় না শেখ মুজিব ?’ বই এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়। পরে মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন অতিথিরা ।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এমরান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,কবি,সাহিত্যিক এসএম রাজা, বীর প্রতীক সাসমুল আলমের সহধর্মীনী হোসনে আরা, বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনজারুল ইসলাম, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিম উদ্দিন, পল্লী চিকিৎসকনুরুজ্জামান ভান্ডারী, কবি ও সাহিত্যিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
জানা যায়, করেনাকালিন সময়ে থমকে যাওয়া বই মেলার আয়োজন আবারো জাগ্রত হলো। এর আগে ১২ বছর ধরে উপজেলার মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন বিকেলে সৌজন্য সাক্ষাতে বাঘা প্রেসক্লাবে চা চক্রে মিলিত হন- অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ও বীর প্রতীক মো. শামসুল আলম, নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল আলম, দৈনিক সোনার দেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, সাংবাদিক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, সাসমুল আলমের সহধর্মীনী হোসনে আরা বেগম।
প্রিন্ট