ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মাদরাসা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাচানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে মানববন্ধটি আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তা সড়ক প্রদিক্ষণ করে উপজেলা চত্ত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
ধলায়েরচর বরকতিয়া আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুহাঃ মোসলেম উদ্দীনের সভাপত্বিতে বক্তব্যে রাখেন সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ, আরবি প্রভাষক হুসাইন আহম্মেদ এরশাদ, সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, আক্তার হোসেন, তসলিম আহম্মেদ, মাওলানা মজিবুর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার, মনিরুজ্জামান, একাদশ শ্রেণির ছাত্র আবু মুছা, দাখিল পরিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন, দশম শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া খাতুন ও আফসানা খাতুন।
মানববন্ধন থেকে বলা হয়, ধলাইয়েরচর আলিম মাদরাসার মেধাবী ছাত্র মেহেদী হাচানকে দিনের বেলা উঠতি বয়সী কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী হামলা করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। মেহেদী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী কয়েক কিশোর তার ওপর হামলা করে। তাদের এলোপাতাড়ি কোপে গুরুতর আহত হয় মেহেদী। ছয় দিন ধরে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধী সে। মেহেদীকে ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্জা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের কোনো আশার কথা শোনাতে পারছে না। মেহেদী হাচান গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের মোবাইল ব্যবাসায়ী হাফিজুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে আলফাডাঙ্গা ধলাইয়েরচর আলিম মাদ্রসায় দশম শেণিতে পড়ে। ওই মাদরাসার সহকারী সুপার মাওলানা আলী আকবর তার ফুফা মেহেদী তার বাড়িতে থাকতেন।
মোটরসাইকেলের গতি তোলা নিয়ে কয়েক কিশোরের সাথে বিরোধ নিয়ে তার ওপর হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি মাওলানা আলী আকবর।
হামলার ঘটনায় ফুফা আলী আকবর বাদি হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, হামলার ঘটনায় কিশোরের ফুফা আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা করেন। ১ নম্বর ও ২ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
প্রিন্ট