ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী Logo কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন! Logo কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিটু সুমন ও টুকটুকি বিজয়ী Logo ফরিদপুর তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা Logo তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও সোনিয়া নির্বাচিত Logo বাঘায় তিরস্কারমূূলক কথা বলার জেরে মারধর, আহত-৪ Logo নলছিটিতে চোরাই অটোরিকশাসহ আটক -২ Logo তীব্র গরমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী Logo কুষ্টিয়া বিএডিসি (সার) অফিসের এডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুষ্টিয়া ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাঃ আচরণ‌বি‌ধি লঙ্ঘ‌নের অ‌ভি‌যো‌গে কাউন্সিলর আটক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নরসিংদীর পলাশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি সিভিল সার্জন বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এনায়েত হোসেন দীর্ঘ আট থেকে নয় বছর ডাঙ্গা ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। ফলে ডাঙ্গা ১ নং ওয়ার্ডের শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্লোগান টি ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থাকার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অনিয়ম ও দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে। কোন অফিসার হাসপাতালে নতুন যোগদান করলে তাকে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ান এনায়েত হোসেন। পরে কৌশলে সে অফিসারকে জিম্মি করে তার উদ্দেশ্য হাসিল করেন। অফিস সহকারীর পাসওয়ার্ড তার কাছে জিম্মি থাকে এবং সে পাসওয়ার্ড গোপন করে তার স্বার্থসিদ্ধি করে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, যারা করোনার টিকা অনলাইন করেনি, তাদের অনলাইন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করছে সে। কোন প্রশিক্ষনের নামে টাকা-পয়সা আসলে সেই টাকার ভুয়া বিল ভাউচার করে সে উত্তোলন করে খায়। শিশুদের শিশু কার্ড দিয়ে টাকা গ্রহণ করে যা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অফিসার ও স্টাফদের জিম্মি করে রিপোর্ট রিটার্নের কথা বলে টাকা আদায় করে এবং টাকা না দিলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অফিসারদের কাছে তাদের হয়রানি করে। অন্য স্টাফদের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে সে নিজে থাকে। এতে করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তার নিজ কাজকর্ম ছাড়াও দাপ্তরিক কাজকর্মে সে সবসময় নাক গলায়। যে কোন প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ সে করে থাকে। সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেই দায়িত্ব পালন করছেন, তাকে ছাড়াও অত্র অফিসে কাজ করার মত অনেক দক্ষ লোক রয়েছে। তা সত্ত্বেও অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে সে নিজেই কাজ করে থাকে। আর সে কারণেই তার কাছে অনেকে জিম্মি বলে জানা যায়।
শুধু তাই নয় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডারের কাজকর্মও করে এবং টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়। এনায়েত হোসেন এর বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানীমূলক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীদের।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী

error: Content is protected !!

নরসিংদীর পলাশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি সিভিল সার্জন বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এনায়েত হোসেন দীর্ঘ আট থেকে নয় বছর ডাঙ্গা ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। ফলে ডাঙ্গা ১ নং ওয়ার্ডের শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্লোগান টি ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থাকার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অনিয়ম ও দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে। কোন অফিসার হাসপাতালে নতুন যোগদান করলে তাকে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ান এনায়েত হোসেন। পরে কৌশলে সে অফিসারকে জিম্মি করে তার উদ্দেশ্য হাসিল করেন। অফিস সহকারীর পাসওয়ার্ড তার কাছে জিম্মি থাকে এবং সে পাসওয়ার্ড গোপন করে তার স্বার্থসিদ্ধি করে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, যারা করোনার টিকা অনলাইন করেনি, তাদের অনলাইন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করছে সে। কোন প্রশিক্ষনের নামে টাকা-পয়সা আসলে সেই টাকার ভুয়া বিল ভাউচার করে সে উত্তোলন করে খায়। শিশুদের শিশু কার্ড দিয়ে টাকা গ্রহণ করে যা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অফিসার ও স্টাফদের জিম্মি করে রিপোর্ট রিটার্নের কথা বলে টাকা আদায় করে এবং টাকা না দিলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অফিসারদের কাছে তাদের হয়রানি করে। অন্য স্টাফদের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে সে নিজে থাকে। এতে করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তার নিজ কাজকর্ম ছাড়াও দাপ্তরিক কাজকর্মে সে সবসময় নাক গলায়। যে কোন প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ সে করে থাকে। সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেই দায়িত্ব পালন করছেন, তাকে ছাড়াও অত্র অফিসে কাজ করার মত অনেক দক্ষ লোক রয়েছে। তা সত্ত্বেও অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে সে নিজেই কাজ করে থাকে। আর সে কারণেই তার কাছে অনেকে জিম্মি বলে জানা যায়।
শুধু তাই নয় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডারের কাজকর্মও করে এবং টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়। এনায়েত হোসেন এর বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানীমূলক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীদের।