ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo এসএসসি ফলাফলে খুশি নয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নরসিংদীর পলাশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি সিভিল সার্জন বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এনায়েত হোসেন দীর্ঘ আট থেকে নয় বছর ডাঙ্গা ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। ফলে ডাঙ্গা ১ নং ওয়ার্ডের শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্লোগান টি ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থাকার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অনিয়ম ও দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে। কোন অফিসার হাসপাতালে নতুন যোগদান করলে তাকে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ান এনায়েত হোসেন। পরে কৌশলে সে অফিসারকে জিম্মি করে তার উদ্দেশ্য হাসিল করেন। অফিস সহকারীর পাসওয়ার্ড তার কাছে জিম্মি থাকে এবং সে পাসওয়ার্ড গোপন করে তার স্বার্থসিদ্ধি করে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, যারা করোনার টিকা অনলাইন করেনি, তাদের অনলাইন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করছে সে। কোন প্রশিক্ষনের নামে টাকা-পয়সা আসলে সেই টাকার ভুয়া বিল ভাউচার করে সে উত্তোলন করে খায়। শিশুদের শিশু কার্ড দিয়ে টাকা গ্রহণ করে যা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অফিসার ও স্টাফদের জিম্মি করে রিপোর্ট রিটার্নের কথা বলে টাকা আদায় করে এবং টাকা না দিলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অফিসারদের কাছে তাদের হয়রানি করে। অন্য স্টাফদের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে সে নিজে থাকে। এতে করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তার নিজ কাজকর্ম ছাড়াও দাপ্তরিক কাজকর্মে সে সবসময় নাক গলায়। যে কোন প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ সে করে থাকে। সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেই দায়িত্ব পালন করছেন, তাকে ছাড়াও অত্র অফিসে কাজ করার মত অনেক দক্ষ লোক রয়েছে। তা সত্ত্বেও অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে সে নিজেই কাজ করে থাকে। আর সে কারণেই তার কাছে অনেকে জিম্মি বলে জানা যায়।
শুধু তাই নয় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডারের কাজকর্মও করে এবং টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়। এনায়েত হোসেন এর বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানীমূলক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীদের।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

নরসিংদীর পলাশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
মোঃ আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :
পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি সিভিল সার্জন বরাবর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এনায়েত হোসেন দীর্ঘ আট থেকে নয় বছর ডাঙ্গা ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। ফলে ডাঙ্গা ১ নং ওয়ার্ডের শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্লোগান টি ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত থাকার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অনিয়ম ও দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে। কোন অফিসার হাসপাতালে নতুন যোগদান করলে তাকে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ান এনায়েত হোসেন। পরে কৌশলে সে অফিসারকে জিম্মি করে তার উদ্দেশ্য হাসিল করেন। অফিস সহকারীর পাসওয়ার্ড তার কাছে জিম্মি থাকে এবং সে পাসওয়ার্ড গোপন করে তার স্বার্থসিদ্ধি করে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, যারা করোনার টিকা অনলাইন করেনি, তাদের অনলাইন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করছে সে। কোন প্রশিক্ষনের নামে টাকা-পয়সা আসলে সেই টাকার ভুয়া বিল ভাউচার করে সে উত্তোলন করে খায়। শিশুদের শিশু কার্ড দিয়ে টাকা গ্রহণ করে যা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অফিসার ও স্টাফদের জিম্মি করে রিপোর্ট রিটার্নের কথা বলে টাকা আদায় করে এবং টাকা না দিলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অফিসারদের কাছে তাদের হয়রানি করে। অন্য স্টাফদের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে সে নিজে থাকে। এতে করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তার নিজ কাজকর্ম ছাড়াও দাপ্তরিক কাজকর্মে সে সবসময় নাক গলায়। যে কোন প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ সে করে থাকে। সে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেই দায়িত্ব পালন করছেন, তাকে ছাড়াও অত্র অফিসে কাজ করার মত অনেক দক্ষ লোক রয়েছে। তা সত্ত্বেও অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে সে নিজেই কাজ করে থাকে। আর সে কারণেই তার কাছে অনেকে জিম্মি বলে জানা যায়।
শুধু তাই নয় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডারের কাজকর্মও করে এবং টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়। এনায়েত হোসেন এর বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানীমূলক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীদের।

প্রিন্ট