ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি খালে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে আরসিসির সাহায্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১০ নং ময়না ইউনিয়ন পরিষদের ঠিক উল্টো পাশে পাকা ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে আরসিসি পিলারের কাজ চলাকালীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কাজ দুইদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ময়না ইউনিয়ন পরিষদের ঠিক উল্টো পাশে বারাসিয়া নদী থেকে প্রবাহিত সরকারি খাল অবস্থিত। খালটির একটা বড় অংশ জুড়ে আরসিসি পিলার করে পাকা ঘর তৈরি করছেন স্থানীয় নেহাল উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে আকবর প্রামাণিক। তবে কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন তার ছেলে ইমরান প্রামাণিক। আকবর প্রামাণিকের ডেকোরেশন, ট্রলি এবং মুদির ব্যবসা আছে।
স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে কাজ বন্ধ করে দেয়ার দুইদিন পরেই আবার শুরু হয়েছে।
সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে পাকা ঘর তৈরির বিষয়ে আকবর প্রামাণিক বলেন, পাশের পলাশ বিশ্বাস এ রকম পাকা ঘর করেছে দেখে আমি করছি। সে না করলে আমি করতাম না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোন লিজ নেইনি। আর এ কাজের ব্যাপারে কারো কাছ থেকে অনুমতিও নেইনি। এ ব্যাপারে ময়না ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে আমাদের মুখ আটকা। আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারি না। ময়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক মৃধাও এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি সন্তোষ কর্মকার বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথেই মঙ্গলবার লোক পাঠিয়েছিলাম। প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি। ওখানে যদি আমাদের অধিগ্রহণকৃত জমি থেকে থাকে তবে আমরা একশন নেব।
- আরও পড়ুনঃ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল মৎস্যজীবী
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
প্রিন্ট