মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধিঃ
ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও হাতবোমা ফাটিয়ে রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে হাট ইজারার টেন্ডার বাক্সের দরপত্র লুট করার ঘটনায় ‘মিথ্যা অপপ্রচারের’ অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মো: শাকিলুর রহমান শাকিল। রাজশাহী নগরের বিসিক এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে বুধবার দুপুর ১.৩০ ঘটিকার সময় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাকিল বলেন, রাষ্ট্রের সব আইন মেনেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু দোষররা রাজশাহীর শান্তি প্রিয় পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। গত সোমবার পবার ইউএনও কার্যালয়ে সব নিয়মনীতি মেনেই আমরা হাট ইজারার টেন্ডার ড্রপ করতে যাই। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে আমরা টেন্ডার ড্রপ না করেই বেরিয়ে আসি। এ ঘটনায় জাতীয় ও স্থানীয় প্রায় সব গণমাধ্যমেই সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত কোনো সংবাদেই এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা উল্লেখ করা হয়নি, বা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যারা আমাকে নিপীড়ন-নির্যাতিত করেছে, তাদেরই একটি গোষ্ঠী সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করতে এবং আমার ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি করতে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
শাকিল অভিযোগ করেন, গত দুই দিন আগে অনিবন্ধিত দুটি নামসর্বস্ব ফেসবুক পেজে প্রতিবেদন আকারে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনই বলে দিচ্ছে; এটি সুস্পস্ট হলুদ সাংবাদিকতা। পবার ঘটনায় কোন তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তারা আমাকে দায়ী করছে। অথচ পবার ঘটনায় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে কোনো গণমাধ্যম আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি। প্রশাসন এখনও তদন্ত করছে। আমিও চাই, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
ফেসবুক দুইটির পেজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিজের সম্মানহানির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করি। কোনরকম বক্তব্য, তথ্য-প্রমাণ, ছবি-ভিডিও ছাড়াই এমন প্রতিবেদন আমার সম্মানহানি করেছে। আমি অতি শিঘ্রই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই দুই ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। একই সঙ্গে সম্মানহানির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ‘শতকোটি’ টাকার মানহানির মামলা করারও হুশিয়ারি দেন শাকিলুর রহমান শাকিল।
এদিকে পবায় হাট ইজারার টেন্ডার বাক্সের দরপত্র লুট করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে কোনো আসামির নাম নেই। রাজশাহীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারিন বলেন, ঘটনার পর রাতে পবা উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে আসামি হিসেবে কারও নাম নেই। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মামলাটি এখন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রিন্ট