রাজশাহী বাঘার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কাঠ ফেলে রেখে জমিয়ে ব্যবসা করছেন ‘স’মিল মালিক সহ কাঠ ব্যবসায়ী। তারা খেলার মাঠ ব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হচ্ছেন। এতে খেলাধূলার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। মাঠটি বাউসা হারুন-অর-রশিদ শাহ্ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বলে পরিচিত। এ অবস্থা বিরাজ করছে বাঘা উপজেলার বাউসা বাজার সংলগ্ন মাঠে ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ এটি। যুগযুগ ধরে খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। এইমাঠে প্রতিনিয়ত ফুটবল, ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু খেলার মাঠের ভেতরে ও তিন পাশে রাখা হয়েছে বড় বড় কাঠের গুল (কাটা গাছের অংশ)। দূর্ঘটনা এড়াতে খেলোয়াড় এবং দর্শকরা বলার পরেও কাঠ মিলের মালিক ও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করছেন না। স্কুল কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না। তারা মাঠ থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠের সবুজ প্রকৃতি নষ্টসহ খেলাধূলার পরিবেশন ধ্বংস হয়েছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে খেলোয়াড়রা।মাঠের পশ্চিম পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর উত্তরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দু’টি বিদ্যালয়ের সহ স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা খেলাধূলা করেন এই মাঠে। খেলার সেই মাঠটি দখল করে কাঠের বড় বড় গুল ফেলে রেখেছেন কাঠ মিল মালিক ও ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশ নার করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, এই মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাটমিন্টন খেলে আসছি। মাঠ দখল করে কাঠ রাখার কারণে এখন আর এই মাঠে আগের মতো খেলাধুলা করা যায় না। আহত হওয়ার ভয়ে থাকতে হয়। তাদের প্রাণের দাবি, মাঠে রাখা কাঠ সরিয়ে নিয়ে খেলাধূলার পরিবেশ তৈরী করে দেওয়ার।
বাউসা ফুটবল একাদশের পরিচালক তহিদুল ইসলাম জানান, মাঠটি বহুকাল আগে থেকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করে।কিন্তু বর্তমান মাঠটি দখল করে কাঠের ব্যবসা করা হচ্ছে।
‘স’মিল মালিক আব্দুর রহিম বলেন, মাঠের কিছু অংশ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছি। প্রয়োজন লাগলে, মাঠ থেকে কাঠ সরিয়ে নেব।
- আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের ইন্তেকাল
প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, পাশের একটি জায়গা লিজ নিয়ে ব্যবসা করছে। সেই সুযোগে খেলার মাঠ ব্যবহার করে। তাদের বলে কাঠ সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, মাঠ দখল মুক্ত করতে কেউ অভিযোগ করেনি। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
প্রিন্ট