মোল্লা জসিমউদ্দিনঃ
বুধবার সন্ধেবেলায় কলকাতা হাইকোর্টের অডিটোরিয়ামে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে মিডিয়েশন প্রশিক্ষিতদের শংসাপত্র প্রদান করা হয়। এই গুরত্বপূর্ণ সভায় ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন কমিটির প্যাট্রন বিচারপতি সৌমেন সেন, সভাপতি বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ, বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ সহ অন্যান্য বিচারপতিরা। এই কমিটির সদস্য সচিব সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় ‘এডভোকেট মিডিয়েটর’ এবং ‘নন এডভোকেট মিডিয়েটর’দের শংসাপত্র দেওয়া হয়। ‘নন এডভোকেট মিডিয়েটর’ হিসাবে আইনী সংবাদদাতা ও কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন সহ অন্যান্য মিডিয়েটররা এদিন প্রধান বিচারপতি সহ অন্যান্য বিচারপতিদের কাছ থেকে শংসাপত্র পেয়ে থাকেন।
.
কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (লিগ্যাল) এবং মিডিয়েশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড: শুভাশিস মুহুরি জানিয়েছেন -” জমে থাকা মামলার পাহাড় কমাতে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে মিডিয়েটর নিযুক্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসিলিয়েশন কমিটি”। ‘তারিখের পর তারিখ’ প্রবাদটি আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কে হাড়ে হাড়ে বোঝায়। বিচার পেতে গেলে আইনজীবীদের পেছনে দীর্ঘমেয়াদী খরচ তো আছেই। ঠিক এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো একাধারে যেমন নিম্ন আদালত গুলিতে ধারাবাহিক জাতীয় লোক আদালত বসে।ঠিক তেমনি সুপ্রিম কোর্টের পরিচালনায় কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনিসলিয়েশন কমিটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে দ্রুত মামলার নিস্পত্তি ঘটাতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
.
জমি- জায়গা সংক্রান্ত মামলা থেকে বাণিজ্যিক – দাম্পত্য মামলা গুলির নিস্পত্তি করছেন কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসিলিয়েশন কমিটির নিযুক্ত মিডিয়েটর বা মধ্যস্থতা কারীরা।এজন্য বাদী – বিবাদী পক্ষদের কোন খরচ করতে হয়না।বছরের পর বছর শুনানির তারিখের জন্য চাতক পাখির মতন অপেক্ষাও করতে হয়না!
.
কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি নিম্ন আদালতের ৭২ টি এডিআর (বিকল্প বিবাদ নিস্পত্তি কেন্দ্র) তে বসে মিডিয়েশন পর্ব। মিডিয়েটররা দু পক্ষ কে নিয়ে শুনানি চালিয়ে থাকেন। দু মাসের সময়সীমা এই মামলা গুলির চুড়ান্ত রিপোর্ট জারি হয়।মিডিয়েশন কমিটির অফিস স্টাফ মহম্মদ নৌশাদ, আকবর আলী, মৌসুমি মন্ডল প্রমুখ সভায় আগতদের আতিথেয়তা পালনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রিন্ট