দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাবেক ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি লায়েকুজ্জামান আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এসআরজে সুমন জানান, শনিবার বিকালে কর্মস্থল রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে আজ (শনিবার) সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে ছিলেন।
লায়েকুজ্জামান ১৯৬৪ সালে ফরিদপুরের নগরকান্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৃত আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা। তিন ভাই ও তিন বোনের সংসারে ভাইদের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভের পর ১৯৮০ সালে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হন। এরপর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান এর আগে কালের কণ্ঠ পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি তিনি রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক সকালের খবরে কাজ করেছেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিন দর্পণ পত্রিকায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।
তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও আরো কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
তার মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শোক প্রকাশ:
সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের মৃত্যুতে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এমপি, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট লিয়াকত সিকদার, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শাহজাহান সহ অনেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
প্রিন্ট