ঢাকা , বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দাখিল পরীক্ষার প্রবেশ পত্র না পেয়ে পাগল প্রায় পরীক্ষার্থী ফারজানা

-ছবিঃ প্রতীকী।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায়  কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার(১৫ফেব্রুয়ারি) একদিন আগেও প্রবেশ পত্র  হাতে না পেয়ে আঝোরে কাঁদছে ফারজানা নামে এক শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় পাগল প্রায় ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার। শিক্ষার্থী ফারজানা কেঁদে কেঁদে বলেন আমি পরীক্ষা না দিতে পারলে আত্মহত্যা করবো।
ফারজানা ও তার পরিবারের অভিযোগ, ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দাখিল পরীক্ষা। কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় রেগুলার মোট ৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে সবাই প্রবেশ পত্র হাতে পেয়েছে শুধুমাত্র ফারজানা ছাড়া। প্রবেশ পত্র না পাওয়ার কারন জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার জহিরুদ্দিন কামাল ও অফিস সহায়ক কবির ফারজানাকে বলে তোমার ফরম ফিলাপের টাকা আমরা ফেরৎ দিবো। নয়তো আগামী বছর তুমি পরিক্ষা দিলে তোমাকে আর কোনো টাকা দিতে হবেন। এ বিষয়ে ফারজানার ভাই রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসায় সুপার সহ ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ১০ থেকে ১৫ জন। মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মাদ্রাসার সুপার জহিরুদ্দিন কামাল মুঠোফোনে জানান, আমি এখন ঢাকায় আছি। বোর্ড থেকে সমস্যা হওয়ার কারনে ফারজানা প্রবেশ পত্র পায়নি। আমি সমস্যা সমাধানের জন্য বোর্ডে এসেছি।
দ্বায়িত্বে থাকা মাদ্রাসার সহ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, প্রবেশ পত্র সংত্রুান্ত বিষয়ে সবকিছু সুপার ও কেরানী জানে। আমি কিছুই জানিনা।
রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা আলম জানায়, অভিযোগ পেয়ে আমি প্রতিষ্ঠানের সুপারকে ঢাকা বোর্ডে গিয়ে দ্রুত ফারজানা নামের ওই শিক্ষার্থীর এডমিড কার্ডের সমস্যা সমাধান করতে বলেছি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার কিংবা অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের কোনো হাত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা সুপারকে দ্রুত এই সমস্য সমাধান করার জন্য বলেছি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

দাখিল পরীক্ষার প্রবেশ পত্র না পেয়ে পাগল প্রায় পরীক্ষার্থী ফারজানা

আপডেট টাইম : ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
মোঃ অহিদ সাইফুল, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায়  কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার(১৫ফেব্রুয়ারি) একদিন আগেও প্রবেশ পত্র  হাতে না পেয়ে আঝোরে কাঁদছে ফারজানা নামে এক শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় পাগল প্রায় ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার। শিক্ষার্থী ফারজানা কেঁদে কেঁদে বলেন আমি পরীক্ষা না দিতে পারলে আত্মহত্যা করবো।
ফারজানা ও তার পরিবারের অভিযোগ, ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দাখিল পরীক্ষা। কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় রেগুলার মোট ৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে সবাই প্রবেশ পত্র হাতে পেয়েছে শুধুমাত্র ফারজানা ছাড়া। প্রবেশ পত্র না পাওয়ার কারন জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার জহিরুদ্দিন কামাল ও অফিস সহায়ক কবির ফারজানাকে বলে তোমার ফরম ফিলাপের টাকা আমরা ফেরৎ দিবো। নয়তো আগামী বছর তুমি পরিক্ষা দিলে তোমাকে আর কোনো টাকা দিতে হবেন। এ বিষয়ে ফারজানার ভাই রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসায় সুপার সহ ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ১০ থেকে ১৫ জন। মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মাদ্রাসার সুপার জহিরুদ্দিন কামাল মুঠোফোনে জানান, আমি এখন ঢাকায় আছি। বোর্ড থেকে সমস্যা হওয়ার কারনে ফারজানা প্রবেশ পত্র পায়নি। আমি সমস্যা সমাধানের জন্য বোর্ডে এসেছি।
দ্বায়িত্বে থাকা মাদ্রাসার সহ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, প্রবেশ পত্র সংত্রুান্ত বিষয়ে সবকিছু সুপার ও কেরানী জানে। আমি কিছুই জানিনা।
রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা আলম জানায়, অভিযোগ পেয়ে আমি প্রতিষ্ঠানের সুপারকে ঢাকা বোর্ডে গিয়ে দ্রুত ফারজানা নামের ওই শিক্ষার্থীর এডমিড কার্ডের সমস্যা সমাধান করতে বলেছি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার কিংবা অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের কোনো হাত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা সুপারকে দ্রুত এই সমস্য সমাধান করার জন্য বলেছি।

প্রিন্ট