ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‌ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন Logo সদরপুরে পাটের ফলন ভাল হওয়ায় ক্ষেত পরিচর্যা করছে কৃষকেরা Logo তানোরে রাস্তায় নিম্নমানের বিটুমিন ও ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ Logo দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ Logo শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন Logo আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক হোসেনউদ্দীন হোসেনের জীবন সংকটাপন্ন Logo নাগরপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার Logo তানোরে পলিনেট হাউস প্রকল্পে অনিয়ম! Logo মাগুরায় বোরো ধানে সমলয় চাষাবাদে পানি সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo মাগুরায় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আমতলীতে খাল খননের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

“কৃষক বাচাঁও খাল কাটা হোক” খাল কাটতে যারা বাদা দেয় তাদের বিচার চাই এ শ্লোগানে আমতলীর চলাভাঙ্গা গ্রামের কৃষকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। বুধবার বেলা ১১টায় চলাভাঙ্গা মৌজার কয়েকশত কৃষক-কৃষাণী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
  জানা গেছে, উপজেলার চলাভাঙ্গা মৌজার মধ্যে দিয়ে দৌলতের শাখা খাল নামে একটি খাল ছিল। এই খালে ১৯৮৬-১৯৮৭ সালে ৬১৮/আম ৮৬/৮৭ বন্দোবস্ত কেসের অনুকুলে মো. সামসের আলীর নামক এক ব্যক্তিকে দেড় একর জমি বন্দোবস্ত দেয় আমতলী ভুমি অফিস। বন্দোবস্ত নেয়ার পর বন্দোবস্ত গ্রহিতারা তাদের বন্দোবস্তকৃত জমি ও খালের বাকী প্রায় ১ একর জমি গায়ের জোরে ভোগ করছেন।
 চলাভাঙ্গা মৌজায় প্রায় ২০০ একর আবাদী জমি রয়েছে কিন্তু দৌলতের শাখা খাল ছাড়া আর কোন খাল নাই । সম্প্রতি গ্রামের কৃষকদের দাবীর পরিপেক্ষিতে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধার ব্যক্তিগত অর্থায়নে মঙ্গলবার ১৩ ফ্রেবুয়ারী থেকে খালটি খনন কাজ শুরু হলে বন্দোবস্ত গৃহিতা সামসের আলীর ছেলে ফারুকুল বারী খাল খনন করতে বাধা প্রদান করেন। বর্তমানে খালটি শুকিয়ে কোন পানি না থাকায় ৫ নং ওয়ার্ডের ফসলী জমিতে ব্যাপক ক্ষতি ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে । স্থানীয়দের দাবি খালটি পুনঃখন করে কৃষকদের বোরো মৌসুমে মাঠে পানি উপযোগী করে দিয়ে ভোগান্তির লাঘব করার।
 স্থনানীয় জলিল মিয়া বলেন বন্দোবস্ত গ্রহিতা সামসের আলীর নামে অনেক রেকর্ডিও জমিজমা আছে সে কিভাবে ভুমিহীন হিসাবে জমি বন্দোবস্ত পায়। সেতো ভুমিহী নয় । তদন্ত পূর্বক সামসের আলীর নামে দেয়া বন্দোবস্ত বাতিলের দাবী জানান।
এবিষয় জানার জন্য বন্দোবস্ত গ্রহিতার ছেলে ফারুকুল বারীর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জলিল মিয়া , মজিদ হাওলাদার, শাহাজাহান, নয়া চৌকিদার, ফারুক, মোকলেচ চৌকিদার, রব মিয়া, ছালাম হাং, দুলাল গাজী, ওহাব মোল্লা, মজিবুর মোল্লা, নিজাম হাওলাদার, ছোবাহান মোল্লাসহ আরো অনেকে।
এ বিষয় জানার জন্য বন্দোবস্ত গ্রহিতার ছেলে ফারুকুল বারীর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এসম্পর্কে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য খালটি খনন করা খুব প্রয়োজন। খনন না হলে এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ৫ শতাধিক কৃষক বোরো মৌসুমে পানি দিতে পারছে না। কৃষকদের দাবীর পরিপেক্ষিতে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে খালটির খনন কাজ শুরু করা হলে বন্দোবস্ত গ্রহিতার পরিবার বাঁধা দিচ্ছে। তিনি খালটি পুনঃখননের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ’মি আব্দুল্লাহ আবু জাহের বলেন, এবিষয় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‌ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

error: Content is protected !!

আমতলীতে খাল খননের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট টাইম : ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
“কৃষক বাচাঁও খাল কাটা হোক” খাল কাটতে যারা বাদা দেয় তাদের বিচার চাই এ শ্লোগানে আমতলীর চলাভাঙ্গা গ্রামের কৃষকরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। বুধবার বেলা ১১টায় চলাভাঙ্গা মৌজার কয়েকশত কৃষক-কৃষাণী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
  জানা গেছে, উপজেলার চলাভাঙ্গা মৌজার মধ্যে দিয়ে দৌলতের শাখা খাল নামে একটি খাল ছিল। এই খালে ১৯৮৬-১৯৮৭ সালে ৬১৮/আম ৮৬/৮৭ বন্দোবস্ত কেসের অনুকুলে মো. সামসের আলীর নামক এক ব্যক্তিকে দেড় একর জমি বন্দোবস্ত দেয় আমতলী ভুমি অফিস। বন্দোবস্ত নেয়ার পর বন্দোবস্ত গ্রহিতারা তাদের বন্দোবস্তকৃত জমি ও খালের বাকী প্রায় ১ একর জমি গায়ের জোরে ভোগ করছেন।
 চলাভাঙ্গা মৌজায় প্রায় ২০০ একর আবাদী জমি রয়েছে কিন্তু দৌলতের শাখা খাল ছাড়া আর কোন খাল নাই । সম্প্রতি গ্রামের কৃষকদের দাবীর পরিপেক্ষিতে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধার ব্যক্তিগত অর্থায়নে মঙ্গলবার ১৩ ফ্রেবুয়ারী থেকে খালটি খনন কাজ শুরু হলে বন্দোবস্ত গৃহিতা সামসের আলীর ছেলে ফারুকুল বারী খাল খনন করতে বাধা প্রদান করেন। বর্তমানে খালটি শুকিয়ে কোন পানি না থাকায় ৫ নং ওয়ার্ডের ফসলী জমিতে ব্যাপক ক্ষতি ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে । স্থানীয়দের দাবি খালটি পুনঃখন করে কৃষকদের বোরো মৌসুমে মাঠে পানি উপযোগী করে দিয়ে ভোগান্তির লাঘব করার।
 স্থনানীয় জলিল মিয়া বলেন বন্দোবস্ত গ্রহিতা সামসের আলীর নামে অনেক রেকর্ডিও জমিজমা আছে সে কিভাবে ভুমিহীন হিসাবে জমি বন্দোবস্ত পায়। সেতো ভুমিহী নয় । তদন্ত পূর্বক সামসের আলীর নামে দেয়া বন্দোবস্ত বাতিলের দাবী জানান।
এবিষয় জানার জন্য বন্দোবস্ত গ্রহিতার ছেলে ফারুকুল বারীর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জলিল মিয়া , মজিদ হাওলাদার, শাহাজাহান, নয়া চৌকিদার, ফারুক, মোকলেচ চৌকিদার, রব মিয়া, ছালাম হাং, দুলাল গাজী, ওহাব মোল্লা, মজিবুর মোল্লা, নিজাম হাওলাদার, ছোবাহান মোল্লাসহ আরো অনেকে।
এ বিষয় জানার জন্য বন্দোবস্ত গ্রহিতার ছেলে ফারুকুল বারীর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এসম্পর্কে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য খালটি খনন করা খুব প্রয়োজন। খনন না হলে এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ৫ শতাধিক কৃষক বোরো মৌসুমে পানি দিতে পারছে না। কৃষকদের দাবীর পরিপেক্ষিতে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে খালটির খনন কাজ শুরু করা হলে বন্দোবস্ত গ্রহিতার পরিবার বাঁধা দিচ্ছে। তিনি খালটি পুনঃখননের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ’মি আব্দুল্লাহ আবু জাহের বলেন, এবিষয় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।