ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নরসিংদীর রায়পুরায় সেনাবাহিনীর এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার বালু আতাউর চেয়ারম্যানের পেটে !

২০২০ সালে “ নরসিংদী জেলায় আড়িয়াল খাঁ নদী, হারিদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুন:খনন প্রকল্প হাতে নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। উক্ত প্রকল্পের আওতাধিন আড়িয়াল খা নদীর ১৯ কিলোমিটার খনন কাজের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেই কাজ বাস্তবায়ন করা হয়।
আড়িয়াল খা নদীর মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের এলাকাধীন রেখে যাওয়া বালু বিক্রি করে দেন ইউপি সদস্য আতাউর রহমান। নদী খননের বালু বিনা মূল্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরিব মানুষদের দেওয়ার কথা থাকলেও তিন বছর পর সেই বালু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, নদী খননের ৩০ থেকে ৩৫ জনের জমিতে রেখে যাওয়া বালু মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তার অনুসারীদের দিয়ে শিবপুরের স্যামসাং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এর কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন। যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। বালু বিক্রির এই বিশাল অংকের টাকা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের পেটে।
এ বিষয়ে শিবপুরের স্যামসাং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এর বক্তব্য নিতে গেলে এডমিন ঢাকায় আছে বলে রিসিপশন থেকে জানানো হয়।
মরজাল ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের পরিষদে গেলে সেখানে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তাকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, বালু কৃষক বিক্রি করে দিয়েছে, কৃষকের বক্তব্য দেন, কৃষক এই বালু বিক্রি করার অধিকার রাখে না, এই কথা শুনা মাত্র তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন আমি ঢাকা মেডিকেলে আছি এসে আপনার সাথে কথা বলব।
তার কিছুক্ষণ পরেই রুদ্র নামের এক কথিত রিপোর্টার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, আপনি কি আমার মামা (আতাউর চেয়ারম্যান) কে ফোন দিয়েছিলেন।আপনার জন্য কি করতে পারি ভাইজান।
এই বিষয়টির সঠিক তদন্ত করে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

নরসিংদীর রায়পুরায় সেনাবাহিনীর এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার বালু আতাউর চেয়ারম্যানের পেটে !

আপডেট টাইম : ১০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
মোঃ আলম মৃধা, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :
২০২০ সালে “ নরসিংদী জেলায় আড়িয়াল খাঁ নদী, হারিদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুন:খনন প্রকল্প হাতে নেয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। উক্ত প্রকল্পের আওতাধিন আড়িয়াল খা নদীর ১৯ কিলোমিটার খনন কাজের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেই কাজ বাস্তবায়ন করা হয়।
আড়িয়াল খা নদীর মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের এলাকাধীন রেখে যাওয়া বালু বিক্রি করে দেন ইউপি সদস্য আতাউর রহমান। নদী খননের বালু বিনা মূল্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরিব মানুষদের দেওয়ার কথা থাকলেও তিন বছর পর সেই বালু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, নদী খননের ৩০ থেকে ৩৫ জনের জমিতে রেখে যাওয়া বালু মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তার অনুসারীদের দিয়ে শিবপুরের স্যামসাং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এর কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন। যার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। বালু বিক্রির এই বিশাল অংকের টাকা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের পেটে।
এ বিষয়ে শিবপুরের স্যামসাং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স এর বক্তব্য নিতে গেলে এডমিন ঢাকায় আছে বলে রিসিপশন থেকে জানানো হয়।
মরজাল ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের পরিষদে গেলে সেখানে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তাকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, বালু কৃষক বিক্রি করে দিয়েছে, কৃষকের বক্তব্য দেন, কৃষক এই বালু বিক্রি করার অধিকার রাখে না, এই কথা শুনা মাত্র তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন আমি ঢাকা মেডিকেলে আছি এসে আপনার সাথে কথা বলব।
তার কিছুক্ষণ পরেই রুদ্র নামের এক কথিত রিপোর্টার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, আপনি কি আমার মামা (আতাউর চেয়ারম্যান) কে ফোন দিয়েছিলেন।আপনার জন্য কি করতে পারি ভাইজান।
এই বিষয়টির সঠিক তদন্ত করে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

প্রিন্ট