গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান টুটুল (৫৫), তার ড্রাইভারসহ হাতুড়ী পেটায় ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরের পরে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের ফারক খান মিলনায়তনের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মুকসুদপুর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেত্ববৃন্দ ঢাকা গোপালগঞ্জ মহাসড়কের মুকসুদপুর অংশ ২ ঘন্টা ব্যাপি অবরোধ চলছে। ওই অবরোধের নেতেৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম শিকদার। এই অবরোধে উভয় পাশে ৪ কিলোমিটার যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে ঢাকা -বরিশাল মহাসড়কের টেকেরহাট মুকসুদপুর অংশ অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে মিছিল দিতে থাকে। মুকসুদপুর থানার পুলিশ ঘন্টা খানেক অবরোধ রাখার পরে তীব্রযানজট নিরসনে এবং নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মুকসুদপুর থানার সেকেন্ডে অফিসার এসআই আবদুল আজিজ শেখ এবং মুকসুদপুর আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক আরিফুজ্জামান জানান, আড়াই টার দিকে মুকসুদপুর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ শেষ করে দাপ্তরিক কাজের জন্য উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় ৫-৬ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি দিয়ে পেছন দিক থেকে আক্রমণ করে। এতে আওয়ামী লীগ সম্পাদক সাহিদুর রহমানের বাম হাত ও বাপ পায়ে ১৫ টির অধিক হাতুড়ির আঘাত করা হয়েছে। এসময় ব্যক্তিগত মাইক্রোবাস ড্রাইভার আয়নাল শেখ (৩৮) এবং সহযোগী এনামুল খান (২৫) ও আহত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাঘদী ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুল উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের দাশের কান্দি গ্রামের গোলাম সারেয়ার রতন মিয়ার ছেলে। অপর ২ আহতরা হলো চরপ্রশন্নদী গ্রামের ফজর আলী শেখের ছেলে আয়নাল শেখ একই গ্রামের হাবিবুর রহমান খানের ছেলে এনামুল।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- আরও পড়ুনঃ গোমস্তাপুরে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা গোপালগঞ্জ মহাসড়কের মুকসুদপুর অংশে অবরোধ,চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। জেলা উচ্চ পর্যায়ের নেত্ববৃন্দ ঘটনাস্থলে আসার জন্য রওনা হয়েছেন।
প্রিন্ট