ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ Logo অবৈধ সম্পদঃ হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা Logo বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের স্থান নেইঃ -রুহুল কবির রিজভী Logo এবছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে কেশবপুর উপজেলা Logo ঝালকাঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমে গতি আনতে জেলা সমন্বয়ক টিম গঠন Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল‌ অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো খামারির স্বপ্ন Logo কালুখালীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত Logo নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে Logo ফরিদপুরে ২৭টি “ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র” উদ্বোধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পদ্মার চরে পন্য পরিবহনে একমাত্র ভরষা মহিষের গাড়ি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার বালুচরের বুকে এখন একমাত্র জানবাহন মহিষের গাড়ি। কালের বিবর্তনে এই পরিবহনটির রূপ বদলালেও এখনও তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে উঁচু-নিচু-আঁকা-বাঁকা বালুময় পথে যাত্রী বা মালামাল গন্তব্যে পৌঁছাতে একমাত্র ভরষা মহিষের গাড়ি ।
পদ্মার অভ্যন্তরের চরাঞ্চলে সড়ক গুলো সব সময়ই উঁচু-নিচু, বালুময় দুর্গম। নির্দিষ্ট কোনো সড়ক নেই এসব চরে। বিভিন্ন সময়ে সুবিধাজনক সড়ক বেছে নেন চরের মানুষ।

এসব সড়কে মাইলের পর মাইল হেঁটে যাতায়াত করেন তারা। পণ্য পরিবহনে মহিষের গাড়িই একমাত্র ভরসা । তবে বিজ্ঞানের আবিস্কারে শুকনো মৌসুমে জমি চাষ করা ট্রাক্টর এর সাথে ট্রলি সংযোগ করে মালামাল পরিবহন করতে দেখা যায়। কিন্তু পদ্মার পাড় থেকে নৌকাযোগে আসা মালামাল কিংবা বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মাঝখান থেকে কৃষিপণ্য পরিবহনে এখনও একমাত্র ভরসা মহিষের গাড়ি।

দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর অভ্যন্তরে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে সরেজমিনে গেলে মহিষের গাড়ির এমন অনেক দৃশ্যই দেখা যায়। আবেদ মাঝির নৌকাঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শহর থেকে নৌকাযোগে আনা মালামাল তুলে দেওয়া হয়েছে মহিষের গাড়িতে। নদীর তীর থেকে খাড়া ঢাল বেয়ে মহিষের গাড়ি উপরে উঠছে।

এরপর ছুটে চলছে মাইলের পর মাইল এসব গাড়ি বিশাল উঁচু থেকে নিচু ঢাল, বালুময়, কিংবা ছোটবড় গর্তযুক্ত সব দুর্গম পথ অনায়াসেই পাড়ি দিতে পারে। যাতায়াত আর পণ্য পরিবহনে দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চরবাসীর অন্যতম যান হিসেবে চলছে মহিষের গাড়ি।

৬৫ বছর বয়সী মহিষের গাড়ির চালক মমিন আলী বলেন, আমরা চরের কৃষক। অনেক আগে থেকেই মহিষের গাড়ি চালাই। আবাদের কাজের ফাঁকে মহিষের গাড়ি চালাই। পোল্টির মোড় এলাকার জব্বার বলেন, আমার জমির ফসল ঘরে তোলা ও আর হাঁট-বাজারে নেয়ার জন্যই মহিষের গাড়ি চালাই।

দিয়াড়কাদিরপুর চরের কৃষক রহমান মোল্লা, শহর আলী, মান্নান, কালাচাঁন মিয়াসহ অনেকেই জানান,নদীতে বেশিরভাগ যায়গা চর পড়ে আবাদী জমির পরিমান বেড়েছে।বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরে তাদের কৃষি জমি। এসব জমির ফসল ঘরে তুলতে মহিষের গাড়ি ছাড়া সম্ভব নয়। আবার মহিষের গাড়ি না পেলে মাথায় বা কাঁধে বোঝা নিয়ে আসতে হয়। এছাড়া শহর থেকে মালামাল আনতেও মহিষের গাড়িই ভরসা।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, পদ্মার মধ্যবর্তী একটি ইউনিয়ন চিলমারী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গ্রাম হবে শহর। সেটা বাস্তবায়নে এখন চরের অনেক সড়কেই মাটি দিয়ে বাধা হয়েছে। তবে নদী তীরবর্তী বালুময় সড়ক গুলোতে চলাচল বা পণ্য পরিবহনের জন্য একমাত্র যানবাহন মহিষের গাড়ি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ

error: Content is protected !!

পদ্মার চরে পন্য পরিবহনে একমাত্র ভরষা মহিষের গাড়ি

আপডেট টাইম : ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার বালুচরের বুকে এখন একমাত্র জানবাহন মহিষের গাড়ি। কালের বিবর্তনে এই পরিবহনটির রূপ বদলালেও এখনও তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে উঁচু-নিচু-আঁকা-বাঁকা বালুময় পথে যাত্রী বা মালামাল গন্তব্যে পৌঁছাতে একমাত্র ভরষা মহিষের গাড়ি ।
পদ্মার অভ্যন্তরের চরাঞ্চলে সড়ক গুলো সব সময়ই উঁচু-নিচু, বালুময় দুর্গম। নির্দিষ্ট কোনো সড়ক নেই এসব চরে। বিভিন্ন সময়ে সুবিধাজনক সড়ক বেছে নেন চরের মানুষ।

এসব সড়কে মাইলের পর মাইল হেঁটে যাতায়াত করেন তারা। পণ্য পরিবহনে মহিষের গাড়িই একমাত্র ভরসা । তবে বিজ্ঞানের আবিস্কারে শুকনো মৌসুমে জমি চাষ করা ট্রাক্টর এর সাথে ট্রলি সংযোগ করে মালামাল পরিবহন করতে দেখা যায়। কিন্তু পদ্মার পাড় থেকে নৌকাযোগে আসা মালামাল কিংবা বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মাঝখান থেকে কৃষিপণ্য পরিবহনে এখনও একমাত্র ভরসা মহিষের গাড়ি।

দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর অভ্যন্তরে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে সরেজমিনে গেলে মহিষের গাড়ির এমন অনেক দৃশ্যই দেখা যায়। আবেদ মাঝির নৌকাঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শহর থেকে নৌকাযোগে আনা মালামাল তুলে দেওয়া হয়েছে মহিষের গাড়িতে। নদীর তীর থেকে খাড়া ঢাল বেয়ে মহিষের গাড়ি উপরে উঠছে।

এরপর ছুটে চলছে মাইলের পর মাইল এসব গাড়ি বিশাল উঁচু থেকে নিচু ঢাল, বালুময়, কিংবা ছোটবড় গর্তযুক্ত সব দুর্গম পথ অনায়াসেই পাড়ি দিতে পারে। যাতায়াত আর পণ্য পরিবহনে দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চরবাসীর অন্যতম যান হিসেবে চলছে মহিষের গাড়ি।

৬৫ বছর বয়সী মহিষের গাড়ির চালক মমিন আলী বলেন, আমরা চরের কৃষক। অনেক আগে থেকেই মহিষের গাড়ি চালাই। আবাদের কাজের ফাঁকে মহিষের গাড়ি চালাই। পোল্টির মোড় এলাকার জব্বার বলেন, আমার জমির ফসল ঘরে তোলা ও আর হাঁট-বাজারে নেয়ার জন্যই মহিষের গাড়ি চালাই।

দিয়াড়কাদিরপুর চরের কৃষক রহমান মোল্লা, শহর আলী, মান্নান, কালাচাঁন মিয়াসহ অনেকেই জানান,নদীতে বেশিরভাগ যায়গা চর পড়ে আবাদী জমির পরিমান বেড়েছে।বাড়ি থেকে কয়েক মাইল দূরে তাদের কৃষি জমি। এসব জমির ফসল ঘরে তুলতে মহিষের গাড়ি ছাড়া সম্ভব নয়। আবার মহিষের গাড়ি না পেলে মাথায় বা কাঁধে বোঝা নিয়ে আসতে হয়। এছাড়া শহর থেকে মালামাল আনতেও মহিষের গাড়িই ভরসা।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা কে বলেন, পদ্মার মধ্যবর্তী একটি ইউনিয়ন চিলমারী। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গ্রাম হবে শহর। সেটা বাস্তবায়নে এখন চরের অনেক সড়কেই মাটি দিয়ে বাধা হয়েছে। তবে নদী তীরবর্তী বালুময় সড়ক গুলোতে চলাচল বা পণ্য পরিবহনের জন্য একমাত্র যানবাহন মহিষের গাড়ি।


প্রিন্ট