কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ঘন ঘন কুয়াশার দাপট পৌষের শেষে এসে কিছুটা কম থাকলেও দুদিন থেকে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছে বিপাকে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা সারাদিন মিলছেনা সুর্যের দেখা ফলে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ সহ সাধারণ মানুষজন।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের কিছুটা আলো ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে।
উপজেলা সদরের সাদ্দাম মোর এলাকার আজিজুল হক বলেন, ঠান্ডায় আমার অবস্থা খারাপ। হাতে টাকা-পয়সাও নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই। এদিকে উপজেলায় পাটেশ্বরী বাজারের মাইদুল ইসলাম বলেন আজ কুয়াশা কম কিন্তু সেই ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না বাতাসে কাবু করে ফেলছে। ভূরুঙ্গামারী বাজারের চাউল ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, রাতে বৃষ্টির মত পড়তেছে কুয়াশা তাই বাজার মানুষ ছাড়া, দোকানে বেচাকেনা হচ্ছে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এই রকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
প্রিন্ট