ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ Logo অবৈধ সম্পদঃ হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা Logo বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের স্থান নেইঃ -রুহুল কবির রিজভী Logo এবছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে কেশবপুর উপজেলা Logo ঝালকাঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমে গতি আনতে জেলা সমন্বয়ক টিম গঠন Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল‌ অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো খামারির স্বপ্ন Logo কালুখালীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত Logo নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে Logo ফরিদপুরে ২৭টি “ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র” উদ্বোধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবার কঠোর লকডাউনঃ কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবার কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে।

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের এই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

গতকাল শনিবার এক মতবিনিময় সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেছিলেন, চলমান লকডাউন শেষে গণপরিবহন চালুর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তাভাবনা করছে। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে গতকাল ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। কয়েক দফায় বাড়িয়ে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। একপর্যায়ে করোনার সংক্রমণ কমেও গিয়েছিল। কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়, যা আগের বিধিনিষেধের চেয়ে কঠোর। পরে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন চললেও আজ রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট ও বিপণিবিতান। এই খবরে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি ও করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে তাঁরা পথে নেমেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার কিছুটা নিম্নমুখী। চলতি সপ্তাহ থেকে মৃত্যুও কমতে পারে। অবশ্য সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও সপ্তাহওয়ারি হিসাবে গত বছরের প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় শনাক্ত রোগী ও মৃত্যু এখনো বেশি।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। অবশ্য এটি নিয়ে ভিন্নমতও আছে। কিন্তু সবাই একমত যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাদেশ এখনো দূরে। অসতর্ক হলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

শঙ্কার কারণ ব্যাখ্যা করে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগের বছর ঈদের পরে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। কারণ, সে সময় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা যায়নি। এবারও সব ক্ষেত্রে বিশেষত দোকানপাট, মার্কেট ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে ঈদের আগে-পরে আবার নাজুক পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা থাকছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ

error: Content is protected !!

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবার কঠোর লকডাউনঃ কাদের

আপডেট টাইম : ০১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
ডেস্ক রিপোর্টঃ :

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবার কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে।

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের এই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

গতকাল শনিবার এক মতবিনিময় সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেছিলেন, চলমান লকডাউন শেষে গণপরিবহন চালুর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তাভাবনা করছে। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে গতকাল ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। কয়েক দফায় বাড়িয়ে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। একপর্যায়ে করোনার সংক্রমণ কমেও গিয়েছিল। কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়, যা আগের বিধিনিষেধের চেয়ে কঠোর। পরে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন চললেও আজ রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট ও বিপণিবিতান। এই খবরে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি ও করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে তাঁরা পথে নেমেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার কিছুটা নিম্নমুখী। চলতি সপ্তাহ থেকে মৃত্যুও কমতে পারে। অবশ্য সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও সপ্তাহওয়ারি হিসাবে গত বছরের প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় শনাক্ত রোগী ও মৃত্যু এখনো বেশি।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। অবশ্য এটি নিয়ে ভিন্নমতও আছে। কিন্তু সবাই একমত যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাদেশ এখনো দূরে। অসতর্ক হলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

শঙ্কার কারণ ব্যাখ্যা করে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগের বছর ঈদের পরে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। কারণ, সে সময় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা যায়নি। এবারও সব ক্ষেত্রে বিশেষত দোকানপাট, মার্কেট ও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে ঈদের আগে-পরে আবার নাজুক পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা থাকছে।


প্রিন্ট