পাবনার চাটমোহরে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার কাজ। ধান কাটার প্রধান উপকরণ কাস্তে। তাই নতুন কাস্তে তৈরী ও পুরনো কাস্তে ধার কাটানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাটমোহরের কামাররা। সকাল থেকে কৃষি শ্রমিকেরা নতুন কাস্তে কিনতে অথবা পুরনো কাস্তে ধার কাটানোর জন্য হাজির হচ্ছেন কামারের কাছে।
চাটমোহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮০ টি কামারশালা রয়েছে। এসব কামারশালায় প্রায় ২শ কামার কাজ করেন। এ পেশাটির উপর নির্ভর করে চাটমোহরের প্রায় ২শ টি পরিবার জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে । হরিপুর, ছাইকোলা, কাটাখালী, পার্শ্বডাঙ্গা ও হান্ডিয়াল,গুনাইগাছা এলাকায় বেশি কামারশালা রয়েছে।
উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং এলাকায় কামারশালার জহুরুল ইসলাম জানান, ধান কাটা শুরু হওয়ায় নতুন কাস্তে তৈরী ও পুরনো কাস্তে ধার কাটানোর কাজ বেড়ে গেছে। তাই আমাদের ব্যস্ততাও খুব বেড়ে গেছে। সকাল ৮ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত আমি এবং আমার দোকানের দুই কর্মচারীরা কাজ করছি। প্রতিদিন ৩০ টি কাস্তে তৈরী করতে পারি। আমাদের তৈরী কাস্তে গুলো ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। প্রতিটি কাস্তে ধার কাটাতে প্রকার ভেদে ৪০ থেকে ৮০ টাকা নিচ্ছি আমরা। কাস্তে ছাড়াও দা, বটি, কোদাল, হাসুয়া, শাবল, কুড়াল তৈরী করি।
লোহার দামও আগের তুলনায় বেড়েছে। তাছাড়া খণিজ কয়লাও চাটমোহরে পাওয়া যায় না। পাবনা থেকে ৫০ কেজি খনিজ কয়লা কিনে চাটমোহরে আনতে প্রায় ৮৫০ টাকা লেগে যায়। আগামি কয়েক দিনের মধ্যে কাজ কমে বলে জানান তিনি।
উপজেলার দোলং গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম জানান, অন্যান্য বছর কাস্তে ধার কাটাতে ৩৫ থেকে ৬০ টাকা নিত। কিন্তু এবার ৮০ টাকা নিচ্ছে। এক যোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় কামার শালায় ভীড় পরে গেছে। তাছাড়া নতুন কাস্তের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে।