মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ডুমুরশিয়া গ্রামে একটি কোয়েল পাখির খামারে বৈদ্যুতিক লাইনের মেরামতের ত্রুটি থেকে আগুন ধরে ৯ হাজার কোয়েল পাখি সহ পুরো খামাটি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১০-১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে । অদক্ষ ইলেকট্রিক মিস্ত্রির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ স্থাপনের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক অরিন আক্তার লিনা।
বৃহস্পতিবার( ২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মো. শিমুলের (২৩) বিরুদ্ধে ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করার অভিযোগ তুলে মহম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারি অরিন আক্তার লীনা।অভিযোগ সূত্রে ও খামার মালিক জানান, খামারে কোয়েল পাখি বাচ্চা ব্রুডিং করাতে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের দরকার হয়। পরে স্থানীয় ডুমুরশিয়া গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শিমুলকে ডেকে আনা হয়। কাজের একপর্যায়ে সে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে লাইন ডাইরেক্ট করে দেয়। বাকি কাজ পরের দিন শেষ করবে বলে অন্যত্র কাজে চলে যায়। সরাসরি লাইন দেওয়ায় রাতে অতিরিক্ত লোড হয়ে বৈদ্যুতিক লাইনের তার গলে আগুনের সূত্রপাত হয় কোয়েল পাখির খামারে।
এ সময় খামারে তিন হাজার প্রোডাকশনের পাখি ও বিভিন্ন আকারের প্রায় ৬ হাজার বাচ্চা পাখি আগুনে পুড়ে মারা যায়। এবং ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ খামারটি ভস্মীভূত হয়ে যায়।ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তা ও খামারি ও অরিন আক্তার লিনা বলেন, ‘পাখি পুশার সখ তার দীর্ঘদিনের। শখের বসে কোয়েল পাখি পোষা শুরু করেন তিনি। নিজে কিছু করার চিন্তা থেকে প্রথমে ১০০০ কোয়েল পাখির বাচ্চা নিয়ে কমার্শিয়াল কোয়েল পাখির খামার শুরু করেন। ধরা দেয় সফলতা। পরবর্তীতে তিনি পর্যক্রমে কোয়েল পাখির বাচ্চা তুলতে থাকেন এবং পুড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তার খামারে প্রায় নয় হাজার পাখি ছিল।
- আরও পড়ুনঃ ছোট দলের বড় মূল্য
তিনি আরো জানান এনজিওর ঋণ এবং আত্মীয়-স্বজনের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে শুরু করেন স্বপ্নের কোয়েল পাখির খামার। যে রাতে আগুন ধরে ওই দিনও খুলনা থেকে প্রায় ৩ হাজার বাচ্চা নিয়ে আসেন তিনি । কিন্তু আজ তার সব স্বপ্ন শেষ। এখন ঋণের টাকা কীভাবে কিভাবে দিবেন সেটা চিন্তা করে ভেঙে পড়েছেন তিনি।সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সহযোগিতা পেলে তিনি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন এই নারী উদ্যোক্তা।এ বিষয়ে জানতে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শিমুলের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল ধরেননি।মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন,তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট