ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে মুরগির খামার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর করা জনৈক মো. আফজাল শরীফের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামের ইকরাম আলী মীরের ছেলে রেজাউল মীর কিছুদিন আগে অভিযোগকারী আফজালের নিকট থেকে বসতবাড়ি করার কথা বলে জমি ক্রয় করে।
কিন্তু রেজাউল মীর ওই আবাসিক এলাকায় বসতবাড়ি না করে মুরগির খামার তৈরি করছে। এতে ওই এলাকার পরিবেশ দূষণসহ স্বাস্থ্য সমস্যার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই মুরগির খামার বন্ধ করার জন্য বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ গত ৩ জানুয়ারি ওই মুরগির খামারে মুরগি লালন পালনের কার্যক্রম বন্ধকরণ/স্থানান্তরের জন্য খামারের মালিক রেজাউল মীরকে নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মুরগি লালন পালনের অনুকূলে আপনার অবস্থানগত/পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। পরিবেশ দূষণ করে কিংবা পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কোন সুযোগ নেই।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু কিংবা পরিচালনা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনাসহ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু ওই মুরগির খামারের মালিক রেজাউল মীর পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মুরগির খামার চালু রেখেছেন বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে খামারের মালিক রেজাউল মীর বলেন, খামার করার সময় পরিবেশ অধিদপ্তর খামার না করার জন্য একটি নোটিশ দিয়েছিল। আমি খামার করার কাজ শুরু করে দেয়ায় আর বন্ধ করিনি। আমার খামারে এই মুহূর্তে ১৬০০টি মুরগি আছে।
প্রিন্ট