ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় হাতিয়ার সাথে সকল প্রকার নৌ চলাচল সারাদিন বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও ধমকা হাওয়া বাড়তে থাকে। ৬ নং বিপদ সঙ্কেতের সাথে সাথে বাতাসের তীব্রতায় ভেঙ্গে পড়ছে কাঁচা ঘরবাড়ী ও গাছপালা।
হাতিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১১৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিকেল ৩ টার পর ৫১ নটিকেল মাইল বেগে দক্ষিন পশ্চিম দিক থেকে ধমকা হাওয়া দ্বীপের উপর দিয়ে বয়ে গেছে।
জানাযায়, তীব্র বাতাসে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ থেকে এবং উত্তর পাশে নলচিরা ও সূখচর ইউনিয়নের বেড়ীবাঁধের পাশে বসবাস করা কিছু কাঁচা ঘরবাড়ী বিধ্বস’ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এখনও সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। সুখচর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী ঢালচর কাছে একটি ফিশিং ট্রলার স্রোত নদীতে উল্টে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া যাই নি।
ঝড়ে বিদ্যুৎতের লাইনে গাছের ডাল পাল পড়ে তার ছিড়ে যাওয়ায় সকাল দশটা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পুরো হাতিয়া দ্বীপ বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে। যার ফলে পুরো হাতিয়া ব্যবসা বানিজ্য বাড়িঘরের যাবতীয় অর্থনৈতিক ও দৈনন্দিন কর্মকান্ডের মারাত্বক ভাবে বিংঘণ হয়েছে।
এদিকে দুপুরে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদেরকে দূর্যোগ মোকাবেলায় স্ব স্ব ইউনিয়নে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স , সিপিপি ও পুলিশের প্রতিনিধিরা।
প্রিন্ট