ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo এসএসসি ফলাফলে খুশি নয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চলনবিলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ

বাংলাদেশের বৃহৎ বিল চলনবিল। শস্য ও মৎস্যভান্ডার চলনবিলে চলছে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ।
শুঁটকি চাতালগুলোতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। খাল-বিল,নদী-নালা,জলাশয়ের দেশী প্রজাতির মাছ ধরার পাশাপাশি সেই মাছ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুঁটকি। বর্ষা শেষে এবং শীতের শুরুতে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়ে।
 এ বছরও শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরাও শুঁটকি মাছ উৎপাদনে ঝুঁকছেন। চলনবিল অঞ্চলে শতাধিক শুঁটকি চাতালে রয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাদের বাড়ির আশপাশে আবার কেউবা বিলের পাড়ে বড় বড় বাঁশের চাতাল তৈরী করে শুঁটকি মাছ উৎপাদন শুরু করেছেন।
 বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, শোল, টাকি, এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কিনে এনে ওই সকল চাতালে শুকানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা বলেন আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করা হয়। সেকারণে দেশ এবং দেশের বাইরে চলনবিলের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
 তবে দেশের বৃহৎ শুঁটকির আড়ত সৈয়দপুরে শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। মৎস্যজীবী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা চাটমোহরের আকরাম হোসেন বললেন, মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি মাছ শুকাতে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে ১ মণ পুঁটি মাছের শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা যা,প্রায় উৎপাদন খরচের সমান। তাছাড়া এবছর চলনবিল অঞ্চলে বর্ষা কম হওয়ায় মাছের আকাল পড়েছে। যা পাওয়া যাচ্ছে,তার দামও চড়া। তারপরও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি উৎপাদনে নেমেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাতালে মাছ শুকানো হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই বিলে আর মাছ মিলবেনা। তাই এখন সবাই ব্যস্ত শুটকি মাছ উৎপাদনে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  আব্দুল মতিন বলেন,চলনবিলের শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে যুগযুগ ধরে। এটা চলনবিলের ঐতিহ্য। বিলপাড়ের লোকজন বাড়ির জন্যও শুঁটকি মাছ তৈরি করে সাড়া বছর খেয়ে থাকেন। এ বিলের শুঁটকি সুস্বাদু। চাহিদাও ব্যাপক।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

চলনবিলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ

আপডেট টাইম : ১০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের বৃহৎ বিল চলনবিল। শস্য ও মৎস্যভান্ডার চলনবিলে চলছে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ।
শুঁটকি চাতালগুলোতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। খাল-বিল,নদী-নালা,জলাশয়ের দেশী প্রজাতির মাছ ধরার পাশাপাশি সেই মাছ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুঁটকি। বর্ষা শেষে এবং শীতের শুরুতে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়ে।
 এ বছরও শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরাও শুঁটকি মাছ উৎপাদনে ঝুঁকছেন। চলনবিল অঞ্চলে শতাধিক শুঁটকি চাতালে রয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাদের বাড়ির আশপাশে আবার কেউবা বিলের পাড়ে বড় বড় বাঁশের চাতাল তৈরী করে শুঁটকি মাছ উৎপাদন শুরু করেছেন।
 বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, শোল, টাকি, এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কিনে এনে ওই সকল চাতালে শুকানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা বলেন আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করা হয়। সেকারণে দেশ এবং দেশের বাইরে চলনবিলের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
 তবে দেশের বৃহৎ শুঁটকির আড়ত সৈয়দপুরে শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। মৎস্যজীবী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা চাটমোহরের আকরাম হোসেন বললেন, মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি মাছ শুকাতে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে ১ মণ পুঁটি মাছের শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা যা,প্রায় উৎপাদন খরচের সমান। তাছাড়া এবছর চলনবিল অঞ্চলে বর্ষা কম হওয়ায় মাছের আকাল পড়েছে। যা পাওয়া যাচ্ছে,তার দামও চড়া। তারপরও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি উৎপাদনে নেমেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাতালে মাছ শুকানো হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই বিলে আর মাছ মিলবেনা। তাই এখন সবাই ব্যস্ত শুটকি মাছ উৎপাদনে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  আব্দুল মতিন বলেন,চলনবিলের শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে যুগযুগ ধরে। এটা চলনবিলের ঐতিহ্য। বিলপাড়ের লোকজন বাড়ির জন্যও শুঁটকি মাছ তৈরি করে সাড়া বছর খেয়ে থাকেন। এ বিলের শুঁটকি সুস্বাদু। চাহিদাও ব্যাপক।

প্রিন্ট