ঢাকা , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নলছিটিতে একাধিক মাদক মামলার আসামি খলিল আটক Logo উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় সংহতি জোরালো করার দাবী Logo বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্বাস্থ্য কামনায় দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ Logo তানোরে পথচারীদের মাঝে ছাতা ও খাবার বিতরণ Logo সালথায় স্কুলের টিউবওয়েলের পানি খেয়েই ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ Logo গোমস্তাপুরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ Logo ফরিদপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo ভেড়ামারা সাংবাদিক কন্যা আসমাউল জান্নাত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন Logo তানোরে রাব্বানী-মামুন একট্টা জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চলনবিলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ

বাংলাদেশের বৃহৎ বিল চলনবিল। শস্য ও মৎস্যভান্ডার চলনবিলে চলছে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ।
শুঁটকি চাতালগুলোতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। খাল-বিল,নদী-নালা,জলাশয়ের দেশী প্রজাতির মাছ ধরার পাশাপাশি সেই মাছ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুঁটকি। বর্ষা শেষে এবং শীতের শুরুতে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়ে।
 এ বছরও শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরাও শুঁটকি মাছ উৎপাদনে ঝুঁকছেন। চলনবিল অঞ্চলে শতাধিক শুঁটকি চাতালে রয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাদের বাড়ির আশপাশে আবার কেউবা বিলের পাড়ে বড় বড় বাঁশের চাতাল তৈরী করে শুঁটকি মাছ উৎপাদন শুরু করেছেন।
 বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, শোল, টাকি, এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কিনে এনে ওই সকল চাতালে শুকানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা বলেন আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করা হয়। সেকারণে দেশ এবং দেশের বাইরে চলনবিলের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
 তবে দেশের বৃহৎ শুঁটকির আড়ত সৈয়দপুরে শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। মৎস্যজীবী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা চাটমোহরের আকরাম হোসেন বললেন, মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি মাছ শুকাতে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে ১ মণ পুঁটি মাছের শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা যা,প্রায় উৎপাদন খরচের সমান। তাছাড়া এবছর চলনবিল অঞ্চলে বর্ষা কম হওয়ায় মাছের আকাল পড়েছে। যা পাওয়া যাচ্ছে,তার দামও চড়া। তারপরও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি উৎপাদনে নেমেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাতালে মাছ শুকানো হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই বিলে আর মাছ মিলবেনা। তাই এখন সবাই ব্যস্ত শুটকি মাছ উৎপাদনে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  আব্দুল মতিন বলেন,চলনবিলের শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে যুগযুগ ধরে। এটা চলনবিলের ঐতিহ্য। বিলপাড়ের লোকজন বাড়ির জন্যও শুঁটকি মাছ তৈরি করে সাড়া বছর খেয়ে থাকেন। এ বিলের শুঁটকি সুস্বাদু। চাহিদাও ব্যাপক।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নলছিটিতে একাধিক মাদক মামলার আসামি খলিল আটক

error: Content is protected !!

চলনবিলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ

আপডেট টাইম : ১০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের বৃহৎ বিল চলনবিল। শস্য ও মৎস্যভান্ডার চলনবিলে চলছে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ।
শুঁটকি চাতালগুলোতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। খাল-বিল,নদী-নালা,জলাশয়ের দেশী প্রজাতির মাছ ধরার পাশাপাশি সেই মাছ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুঁটকি। বর্ষা শেষে এবং শীতের শুরুতে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে শুঁটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়ে।
 এ বছরও শুঁটকি উৎপাদন শুরু হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি সাধারণ মৎস্যজীবীরাও শুঁটকি মাছ উৎপাদনে ঝুঁকছেন। চলনবিল অঞ্চলে শতাধিক শুঁটকি চাতালে রয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাদের বাড়ির আশপাশে আবার কেউবা বিলের পাড়ে বড় বড় বাঁশের চাতাল তৈরী করে শুঁটকি মাছ উৎপাদন শুরু করেছেন।
 বিল থেকে পুঁটি, টেংরা, বান, শোল, টাকি, এবং চাঁদা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কিনে এনে ওই সকল চাতালে শুকানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা বলেন আমরা কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপায়ে শুঁটকি মাছ উৎপাদন করা হয়। সেকারণে দেশ এবং দেশের বাইরে চলনবিলের শুঁটকি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
 তবে দেশের বৃহৎ শুঁটকির আড়ত সৈয়দপুরে শুঁটকি মাছের চাহিদা বেশি। মৎস্যজীবী ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা চাটমোহরের আকরাম হোসেন বললেন, মাছ কেনা এবং শ্রমিকসহ এক মণ পুঁটি মাছ শুকাতে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে ১ মণ পুঁটি মাছের শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা যা,প্রায় উৎপাদন খরচের সমান। তাছাড়া এবছর চলনবিল অঞ্চলে বর্ষা কম হওয়ায় মাছের আকাল পড়েছে। যা পাওয়া যাচ্ছে,তার দামও চড়া। তারপরও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি উৎপাদনে নেমেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাতালে মাছ শুকানো হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই বিলে আর মাছ মিলবেনা। তাই এখন সবাই ব্যস্ত শুটকি মাছ উৎপাদনে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  আব্দুল মতিন বলেন,চলনবিলের শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে যুগযুগ ধরে। এটা চলনবিলের ঐতিহ্য। বিলপাড়ের লোকজন বাড়ির জন্যও শুঁটকি মাছ তৈরি করে সাড়া বছর খেয়ে থাকেন। এ বিলের শুঁটকি সুস্বাদু। চাহিদাও ব্যাপক।