কথায় আছে ,”ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান বানে”।তাইতো প্রবাসে বিদেশের মাটিতে গিয়েও আরেক প্রবাসী ভাইয়ের সাথে এক অভিনব প্রতারণা করেছে এক বাংলাদেশী।
নরসিংদী পশ্চিম কান্দাপাড়ার রশিদ মিয়ার ছেলে দুলাল আহমেদের সাথে প্রতারণা করেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার চরবাড্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আল ইসলামের ছেলে হারুন মিয়া ।
দুলাল আহমেদ জানান, দীর্ঘ ১২ বছর সৌদি আরবে প্রবাসে থাকেন তিনি, দেশে আসার পরে একাধিক রেস্টুরেন্ট দেন কিন্তু একটি রেস্টুরেন্টেও উনি সাফল্য লাভ করতে পারেনি ।নিরুপায় হয়ে আবার প্রবাসে পাড়ি দেন দুলাল আহমেদ। এবার যান দুবাই আরব আমিরাতে ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্ট খোলার আশায়। সেখানে যাওয়ার পরে দেখে রেস্টুরেন্ট খোলার জন্য দিরহামের প্রয়োজন।
দুবাই দুলাল আহমেদের সাথে পরিচয় হয় প্রতারক হারুন মিয়ার। হারুন মিয়া দীর্ঘদিন যাবত দুবাই প্রবাসী। হারুন মিয়া দুলাল আহমেদকে বলে আমার দেশের বাড়িতে টাকার প্রয়োজন আপনি সেখানে টাকা দিয়ে দেন, আমি আপনাকে এখানে দিরহাম দিয়ে দিব। প্রতারক হারুন মিয়া তার পিতাকে পাঠিয়ে দুবাই প্রবাসী দুলাল আহমেদের স্ত্রীর কাছ থেকে ‘হ্যান্ড ক্যাশে, ব্যাংকের মাধ্যমে ও বিকাশের মাধ্যমে’ ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছুদিন পর দুলাল আহমেদের কথা হয় দুবাই এর কফিলের সাথে রেস্টুরেন্টের বিষয়ে, তখনই প্রয়োজন হয় দিরহামের।
তখন প্রতারক হারুন মিয়ার কাছে দিরহাম চাইতে গেলে, দেই -দিচ্ছি বলে তালবাহানা শুরু করে প্রতারক হারুন মিয়া। দুলাল আহমেদ বলে, আমি আপনাকে ৮ লক্ষ টাকা আমার স্ত্রীর কাজ থেকে দিয়ে দিয়েছি । প্রতারক হারুন মিয়া মোবাইল ফোনের ভয়েসের মাধ্যমে স্বীকার করে তার বাবা প্রথমে ছয় লক্ষ টাকা নেয় ।পরবর্তীতে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয় । মোট সাত লক্ষ সত্তর হাজার টাকা ভয়েসের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি দেয় প্রতারক হারুন মিয়া।
বর্তমানে দুলাল আহমেদের দাবিকৃত পাওনা ৮ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে ?? হারুন মিয়া ভয়েসের মাধ্যমে দুলাল আহমেদকে হুমকি দিয়ে বলে, দুলালকে কুপিয়ে চাকচাক করে ফেলবে। হারুন মিয়া আরো বলেন, আমার পিতা মাছ না ধরলে আমাদের সংসারে চুলা জ্বলতো না।অর্থাৎ দারিদ্র্য জেলে বাবার সন্তান সে।সেখান থেকে আজ কোটিপতি হয়ে গেছে। বোঝাই যাচ্ছে প্রতারণায় সে কতটা পারদর্শী! প্রতারণা ও হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে বর্তমানে সে কোটি কোটি টাকার মালিক !
একটি সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আল ইসলামের ছেলে হারুন মিয়া একজন প্রতারক। সে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে; পাশাপাশি হুন্ডি ব্যবসার সাথেও সে জড়িত। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সে । এতে করে সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব।
বর্তমানে দুবাই প্রবাসী দুলাল আহমেদের স্ত্রী ও সন্তান বহু কষ্টে দিন যাপন করছে ।অন্যদিকে ব্যবসার জন্য রাখা শেষ পুঁজিটুকু দুলাল আহমেদ হারিয়ে দুবাইতে অনেক কষ্টে দিন যাপন করছে।
প্রতারণা ও হুন্ডির ব্যবসার সাথে জড়িত হারুন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রবাসী দুলাল মিয়ার পরিবার ও সচেতন মহলের প্রত্যাশা।
প্রিন্ট