ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ Logo সদরপুরে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার Logo দৌলতপুর সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক Logo তানোরে জামায়াতের রাজনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য Logo বাঘায় তারুণ্যের উৎসব’২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo শালিখায় পলিথিনের বিকল্প উপকরণ বিতরণ Logo আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধসহ আহত- ৭ Logo গুরুদাসপুরে মিথ্যা তথ্যের জন্য দুটি চানাচুর কারখানা মালিকের জরিমানা Logo রাজশাহী বিএমডিএর স্টোর কিপারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ Logo আধা ঘন্টা মাটির নিচে চাপা পড়ে জীবিত ফিরল আলফাডাঙ্গায় নির্মাণ শ্রমিক রুবেল
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
অনুকুল আবহাওয়া,  সময়মতো সার ও বিজ বপন, সঠিক পরিচর্চা এবং স্থানীয় কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্বাবধানে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন সদরপুর উপজেলার কৃষকরা।
  এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি     অফিসার নিটুল রায় জানান চলতি   মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯ টি     ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে৷     রোপা আমন ধান চাষের  লক্ষমাত্রা     নির্ধারন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে   থাকায় আমনের বাম্পার ফলনের   সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষক সায়াদ সর্দার। তিনি জানান, ৪২ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষে সব মিলিয়ে খরজ হয় ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এবং প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হয় ২০ মন। তবে বাম্পার ফলন হলে প্রতি বিঘায় ২২ মন পর্যন্ত উৎপাদন হতে পারে।
অপর কৃষক সাহেদ আলী বেপারী বলেন, স্থানীয় অনেক কৃষক প্রথমে রোপা আমন চাষ করেছিলেন সম্প্রতি ঘুর্নিঝড় এবং বৃস্টির কারনে তাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবং যে সকল আমন চাষী নামিতে ধান রোপন করেছেন তাঁরা লাভবান হবেন বেসি।
স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী সোবাহান সৈকত বলেন, আমি গত দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন জাতের ধানের ব্যবসার সাথে জরিত আছি। গত বছর আমি সর্ব্বচ্চ প্রতি মন ধান একহাজার টাকা দরে ক্রয় করেছি। তবে এবার ধানের মূল্য কিছুটা বেসি। প্রতিমন ধান ক্রয় ও সংরক্ষণে আমার খরজ পরেছে এগারোশত টাকা।
  অপর কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ধান আবাদে সব কৃষকদের খরজ ভিন্ন।
 যে সকল কৃষক উপজেলা কৃষি   অফিসের তালিকাভুক্ত তাঁরা কৃষি   অফিস থেকে বিভিন্ন প্রকার অনুদান   পেয়ে থাকেন। যারা তালিকা ভুক্ত কৃষক নয় তাদের উৎপাদন খরজ একটু বেসি।
স্থানীয় অনেক ধান চাষি বলেন সরকারি ভাবে যদি সব কৃষকদের তালিকাভুক্ত করেন, এবং একটু সহানুভূতির দৃষ্টি দিয়ে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেন তবে, এই দেশের কৃষকরাই একদিন গড়ে তুলবে জাতীর জনকের  স্বপ্নের সোনার বাংলা।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে টিউলিপের পদত্যাগ

error: Content is protected !!

রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

আপডেট টাইম : ০১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
শিমুল তালুকদার সদরপুর (ফরিদপুর) থেকে :
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
অনুকুল আবহাওয়া,  সময়মতো সার ও বিজ বপন, সঠিক পরিচর্চা এবং স্থানীয় কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্বাবধানে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন সদরপুর উপজেলার কৃষকরা।
  এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি     অফিসার নিটুল রায় জানান চলতি   মৌসুমে সদরপুর উপজেলার ৯ টি     ইউনিয়নে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে৷     রোপা আমন ধান চাষের  লক্ষমাত্রা     নির্ধারন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে   থাকায় আমনের বাম্পার ফলনের   সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষক সায়াদ সর্দার। তিনি জানান, ৪২ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষে সব মিলিয়ে খরজ হয় ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। এবং প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হয় ২০ মন। তবে বাম্পার ফলন হলে প্রতি বিঘায় ২২ মন পর্যন্ত উৎপাদন হতে পারে।
অপর কৃষক সাহেদ আলী বেপারী বলেন, স্থানীয় অনেক কৃষক প্রথমে রোপা আমন চাষ করেছিলেন সম্প্রতি ঘুর্নিঝড় এবং বৃস্টির কারনে তাদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবং যে সকল আমন চাষী নামিতে ধান রোপন করেছেন তাঁরা লাভবান হবেন বেসি।
স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী সোবাহান সৈকত বলেন, আমি গত দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন জাতের ধানের ব্যবসার সাথে জরিত আছি। গত বছর আমি সর্ব্বচ্চ প্রতি মন ধান একহাজার টাকা দরে ক্রয় করেছি। তবে এবার ধানের মূল্য কিছুটা বেসি। প্রতিমন ধান ক্রয় ও সংরক্ষণে আমার খরজ পরেছে এগারোশত টাকা।
  অপর কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ধান আবাদে সব কৃষকদের খরজ ভিন্ন।
 যে সকল কৃষক উপজেলা কৃষি   অফিসের তালিকাভুক্ত তাঁরা কৃষি   অফিস থেকে বিভিন্ন প্রকার অনুদান   পেয়ে থাকেন। যারা তালিকা ভুক্ত কৃষক নয় তাদের উৎপাদন খরজ একটু বেসি।
স্থানীয় অনেক ধান চাষি বলেন সরকারি ভাবে যদি সব কৃষকদের তালিকাভুক্ত করেন, এবং একটু সহানুভূতির দৃষ্টি দিয়ে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেন তবে, এই দেশের কৃষকরাই একদিন গড়ে তুলবে জাতীর জনকের  স্বপ্নের সোনার বাংলা।

প্রিন্ট