ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা Logo মাগুরায় শত্রুজিৎপুর নূরুল ইসলাম দাখিল মাদরাসায় জালিয়াতি করে চাকরির অভিযোগ Logo মুকসুদপুরে সাংবাদিক হায়দারের কুশপুত্তলিকা দাহ Logo মুকসুদপুরে যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ Logo তানোরে সার চোরাচালানের মহোৎসব! Logo ফরিদপুরে ৫ দিনব্যাপী ৮৬১ ও ৮৬২ তম কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স উদ্বোধন Logo রূপগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায় Logo তানোরের নারায়নপুর স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান Logo বাঘায় গলা কেটে হত্যা, নিহতের ভাইরা ভাই রায়হান গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবেঃ -প্রধানমন্ত্রী

♦ বিদেশিদের লাফালাফিতে বানচাল হবে না নির্বাচন যথাসময়ে ♦ মজুদদারদের খুঁজে বের করুন, ব্যবস্থা নেব

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন কর্মসূচির নামে অগ্নিসন্ত্রাস হলে তা প্রতিহত করতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। যে যেখানেই থাকুন, যারা আগুন দেবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিহত করতে হবে। কারও ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে হবে না। জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি এমনটা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আর কিছু নেই। আমাদের কোনো মুরুব্বি নেই। আমাদের আছে বাংলাদেশের জনগণ। সেই জনগণ নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশিদের লাফালাফিতে এ দেশে নির্বাচন বানচাল হবে না। নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে।

 

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে? নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপি চেয়ারপারসন, সে তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। ওরা (বিএনপি) জানে নির্বাচন করলে ওরা কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০০৮ নির্বাচনে তো মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।

 

সংসদ নির্বাচনে নানাভাবে গোলমাল করার চেষ্টা হবে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ রাখতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে এ দেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে না পারে। ওরা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন চায় না, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। দুষ্কৃতকারী কয়েকজনের লাফালাফিতে নির্বাচন বানচাল হবে না, তাদের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন বানচালের যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেখানেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটবে, সেখানেই বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দিতে হবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হলে সিট পাবে না, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না- এটা জেনে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না, জানি না। যদি আসে তবে অতীতের মতো মনোনয়ন বাণিজ্য করতে আসবে। এরা নির্বাচন নয়, নির্বাচন বানচালের জন্য আরও অনেক কিছু ঘটানোর চেষ্টা করবে। এদের আবার অনেকে মদদ দিচ্ছে। আসলে খুন-সন্ত্রাস ছাড়া এরা অন্য কিছু জানে না। দেশের এত উন্নয়ন ও অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিতে চায়। নির্বাচন বানচালের যে কোনো চক্রান্ত ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, শাজাহান খান, শহীদ জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, শহীদ জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা সৈয়দা জাকিয়া নূর এমপি, ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।

 

সভার শুরুতে জাতির পিতাসহ শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে দলটির প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস যারা করে তাদের ধরে যে হাতে আগুন দেয় ওই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর। তা না হলে তাদের শিক্ষা হবে না। কোনো এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাস কেউ করলে ওই এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী যারা আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। এদের ধরিয়ে দিতে হবে। এরা যাতে মানুষের জানমাল নষ্ট করতে না পারে। জানমালের যেন ক্ষতি করতে না পারে তার সুরক্ষা দিতে হবে। এটাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

 

দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ওই ভাঁওতাভাজি, সন্ত্রাস এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে, কারণ আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, তারা দেশের অর্জন ও মর্যাদা ধ্বংস করতে চায়। এজন্য যে যেখানে আছে সবাইকে যার যার এলাকায় এমনভাবে সংগঠিত হতে হবে যেন ওই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস করে আর একটাও পার না পায়। যদি কেউ আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে, যে হাত দিয়ে আগুন দেবে ওই হাত পোড়াতে হবে। তাহলে ওদের শিক্ষা হবে।

 

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) চেয়ারপারসন তো দুর্নীতির দায়ে জেলে। আমার বাবা-মাসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সঙ্গে তো এই জিয়া পরিবারই দায়ী। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও তারা জড়িত তাও স্পষ্ট। অনেকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তবু অসুস্থতা বিবেচনায় আমি তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাসায় থাকতে দিলাম। একটা কুলাঙ্গার ছেলে তৈরি করে দিয়ে গেছে জিয়াউর রহমান। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে, তার সাজা হয়েছে। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত, তাতে তো সন্দেহ নাই।

 

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের সেই বীভৎস চেহারা আবার প্রকাশ পেয়েছে। এটা তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালেও ঘটিয়েছে। ২০০১ সালেও আমরা তাদের চেহারা দেখেছি। এরা দেশের ক্ষমতায় যখন ছিল তখন আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, জেলে পুরেছে। এরা খুন করা ছাড়া কিছুই বোঝে না, জানে না। তত্ত্বাবধায়কের আমলে মুচলেকা (তারেক রহমান) দিয়ে চলে যায়। এখন নাকি ওখানে বসে জুয়া খেলে আর পাউন্ড ইনকাম করে। আর ওখান থেকে জ্বালাও-পোড়াও করার নির্দেশ দেয়। বিএনপিতে আর কোনো নেতা নাই? যারা অন্তত লেখাপড়া সব দিক থেকে ভালো, সেটা করতে পারেনি। ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে।

 

মনোনয়ন নিয়ে বিভাজন না করার জন্য সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নমিনেশন সেটা তো আমরা দেব। আর আমি বসে থাকি না। প্রতি ছয় মাস পর পর আমার একটা হিসাব থাকে। কেউ যদি মনে করে এখন তো ওরা নেই আমরা দাঁড়ালে আমরা জিতেই যাব; আর একটা সিট না পেলে কী হবে বাকি সিট তো পাবে সরকার গঠন করবে। এই চিন্তা যেন কারও মাথায় না থাকে। কারণ, এ চিন্তায় কিন্তু সর্বনাশ ডেকে আনবে। যে সিদ্ধান্ত দেব তা মানতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে; যাতে দেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে না পারে।

 

২৮ অক্টোবরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস। তাদের যে বীভৎস চেহারা। তারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে- একজন নিরীহ পুলিশ চাকরি করে। তার কী অপরাধ? এই একবারই নয়, তারা ২০১৩ সালে একই ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, আগুনে পোড়ানো, গাড়ি, স্কুল, অফিস-আদালত, রেল, লঞ্চ কী বাদ দিয়েছে তারা? অগ্নিসংযোগ করে তারা সারা বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ যখন প্রতিরোধ করছে তখনই তারা থেমেছে। যারাই এভাবে আগুন দেবে। জনগণের ওপর অত্যাচার করবে। গাড়ি বাস ট্রাকে আগুন দেবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এখানে কারও ওপর নির্ভর করলে হবে না, জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এত কিছু করেও কিন্তু তারা নির্বাচনটাকে থামাতে পারেনি।

 

ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক নিরীহ পুলিশ সদস্যকে কীভাবে মেরেছে? মাথার হেলমেটটা পর্যন্ত খুলে নিয়ে কোপাল। এরা কি মানুষ? এদের মধ্যে কি মনুষ্যত্ববোধ আছে? এরা কীসের রাজনীতি করে? যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তারা কীসের রাজনীতি করে? কার জন্য রাজনীতি করে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। তার বোন, ভাই, বোনের জামাই আমাদের কাছে এসেছে। আমার সঙ্গে, রেহানার সঙ্গে দেখা করেছে। কান্নাকাটি করেছে। আমি তাঁর সাজাটা স্থগিত করে তাঁকে বাসায় থাকার আর তাঁর ইচ্ছেমতো চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। একবার ভেবে দেখেন, যে আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, একটা কুলাঙ্গার পয়দা করে গেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে অস্ত্র চোরাকারবারির একটা স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল। হাতেনাতে ধরা। যে পুলিশ ধরেছে তাকে আবার শাস্তি দিয়েছে।

 

দ্রব্যমূল্য নিয়ে নানাভাবে চক্রান্ত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে তাহলে কীসের অভাব হবে। এগুলোর পেছনে কারা আছে? মজুদ করে রেখে দেবে কিন্তু বাজারে আনবে না। না এনে দাম বাড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে। এটাই তারা করে যাচ্ছে। এ ধরনের কারা মজুদ করে। মালপত্র থাকা সত্ত্বেও বাজারে না এনে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করে এদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন এতটুকু কমেনি। সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে আমরা কিনে নিয়ে আসছি। কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাবে না কেন?

 

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, প্যালেস্টাইনে আজ কী হচ্ছে? হাসপাতালে বোমা মেরেছে। আর এখানে কী দেখলাম এই বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে আগুন দেয়, অ্যাম্বুলেন্স পোড়ায়। ভাঙচুর করে। এরা কোথা থেকে কি শিক্ষা পাচ্ছে? সেটাই আমাদের প্রশ্ন।

 

নতুন তিন প্রকল্প বাংলাদেশ-ভারত উভয়ের জন্য কল্যাণকর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যৌথভাবে উদ্বোধন করা ভারতের সহায়তাপুষ্ট তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প উপ-অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

 

প্রকল্প তিনটি হলো : ১২.২৪ কিলোমিটার আখাউড়া-আগরতলা আন্তদেশীয় রেলপথ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ এবং মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্লান্টের ইউনিট-২। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি এ প্রকল্পগুলো উভয় দেশ এবং উপ-অঞ্চলের জনগণের উপকার করবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেই সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। উভয় দেশেরই একে অন্যের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।

 

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকার এবং নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের প্রার্থিতাকে সমর্থন করার জন্য। ১ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ নেপালের একমাত্র প্রার্থীকে পরাজিত করে ২০২৪ সাল থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে জয়ী হন।

 

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার অবস্থা নিয়ে উভয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অ্যাম্বাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা

error: Content is protected !!

অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবেঃ -প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন কর্মসূচির নামে অগ্নিসন্ত্রাস হলে তা প্রতিহত করতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। যে যেখানেই থাকুন, যারা আগুন দেবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিহত করতে হবে। কারও ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে হবে না। জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি এমনটা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আর কিছু নেই। আমাদের কোনো মুরুব্বি নেই। আমাদের আছে বাংলাদেশের জনগণ। সেই জনগণ নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশিদের লাফালাফিতে এ দেশে নির্বাচন বানচাল হবে না। নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে।

 

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি কাকে নিয়ে নির্বাচন করবে? নির্বাচন করলে তাদের নেতা কে? কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে? কাকে দিয়ে মন্ত্রিসভা করবে? বিএনপি চেয়ারপারসন, সে তো এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। ওরা (বিএনপি) জানে নির্বাচন করলে ওরা কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০০৮ নির্বাচনে তো মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল। এখন তাদের অপকর্মের জন্য মানুষ আরও বিমুখ।

 

সংসদ নির্বাচনে নানাভাবে গোলমাল করার চেষ্টা হবে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ রাখতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে এ দেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে না পারে। ওরা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচন চায় না, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। দুষ্কৃতকারী কয়েকজনের লাফালাফিতে নির্বাচন বানচাল হবে না, তাদের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন বানচালের যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেখানেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটবে, সেখানেই বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দিতে হবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হলে সিট পাবে না, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না- এটা জেনে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না, জানি না। যদি আসে তবে অতীতের মতো মনোনয়ন বাণিজ্য করতে আসবে। এরা নির্বাচন নয়, নির্বাচন বানচালের জন্য আরও অনেক কিছু ঘটানোর চেষ্টা করবে। এদের আবার অনেকে মদদ দিচ্ছে। আসলে খুন-সন্ত্রাস ছাড়া এরা অন্য কিছু জানে না। দেশের এত উন্নয়ন ও অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিতে চায়। নির্বাচন বানচালের যে কোনো চক্রান্ত ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, শাজাহান খান, শহীদ জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, শহীদ জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা সৈয়দা জাকিয়া নূর এমপি, ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।

 

সভার শুরুতে জাতির পিতাসহ শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে দলটির প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস যারা করে তাদের ধরে যে হাতে আগুন দেয় ওই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর। তা না হলে তাদের শিক্ষা হবে না। কোনো এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাস কেউ করলে ওই এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী যারা আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। এদের ধরিয়ে দিতে হবে। এরা যাতে মানুষের জানমাল নষ্ট করতে না পারে। জানমালের যেন ক্ষতি করতে না পারে তার সুরক্ষা দিতে হবে। এটাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

 

দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ওই ভাঁওতাভাজি, সন্ত্রাস এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে, কারণ আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, তারা দেশের অর্জন ও মর্যাদা ধ্বংস করতে চায়। এজন্য যে যেখানে আছে সবাইকে যার যার এলাকায় এমনভাবে সংগঠিত হতে হবে যেন ওই অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস করে আর একটাও পার না পায়। যদি কেউ আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে, যে হাত দিয়ে আগুন দেবে ওই হাত পোড়াতে হবে। তাহলে ওদের শিক্ষা হবে।

 

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) চেয়ারপারসন তো দুর্নীতির দায়ে জেলে। আমার বাবা-মাসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সঙ্গে তো এই জিয়া পরিবারই দায়ী। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও তারা জড়িত তাও স্পষ্ট। অনেকবার আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তবু অসুস্থতা বিবেচনায় আমি তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাসায় থাকতে দিলাম। একটা কুলাঙ্গার ছেলে তৈরি করে দিয়ে গেছে জিয়াউর রহমান। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে, তার সাজা হয়েছে। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত, তাতে তো সন্দেহ নাই।

 

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের সেই বীভৎস চেহারা আবার প্রকাশ পেয়েছে। এটা তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালেও ঘটিয়েছে। ২০০১ সালেও আমরা তাদের চেহারা দেখেছি। এরা দেশের ক্ষমতায় যখন ছিল তখন আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, জেলে পুরেছে। এরা খুন করা ছাড়া কিছুই বোঝে না, জানে না। তত্ত্বাবধায়কের আমলে মুচলেকা (তারেক রহমান) দিয়ে চলে যায়। এখন নাকি ওখানে বসে জুয়া খেলে আর পাউন্ড ইনকাম করে। আর ওখান থেকে জ্বালাও-পোড়াও করার নির্দেশ দেয়। বিএনপিতে আর কোনো নেতা নাই? যারা অন্তত লেখাপড়া সব দিক থেকে ভালো, সেটা করতে পারেনি। ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে।

 

মনোনয়ন নিয়ে বিভাজন না করার জন্য সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নমিনেশন সেটা তো আমরা দেব। আর আমি বসে থাকি না। প্রতি ছয় মাস পর পর আমার একটা হিসাব থাকে। কেউ যদি মনে করে এখন তো ওরা নেই আমরা দাঁড়ালে আমরা জিতেই যাব; আর একটা সিট না পেলে কী হবে বাকি সিট তো পাবে সরকার গঠন করবে। এই চিন্তা যেন কারও মাথায় না থাকে। কারণ, এ চিন্তায় কিন্তু সর্বনাশ ডেকে আনবে। যে সিদ্ধান্ত দেব তা মানতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে; যাতে দেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে না পারে।

 

২৮ অক্টোবরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস। তাদের যে বীভৎস চেহারা। তারা যে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করে- একজন নিরীহ পুলিশ চাকরি করে। তার কী অপরাধ? এই একবারই নয়, তারা ২০১৩ সালে একই ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, আগুনে পোড়ানো, গাড়ি, স্কুল, অফিস-আদালত, রেল, লঞ্চ কী বাদ দিয়েছে তারা? অগ্নিসংযোগ করে তারা সারা বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ যখন প্রতিরোধ করছে তখনই তারা থেমেছে। যারাই এভাবে আগুন দেবে। জনগণের ওপর অত্যাচার করবে। গাড়ি বাস ট্রাকে আগুন দেবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। এখানে কারও ওপর নির্ভর করলে হবে না, জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এত কিছু করেও কিন্তু তারা নির্বাচনটাকে থামাতে পারেনি।

 

ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক নিরীহ পুলিশ সদস্যকে কীভাবে মেরেছে? মাথার হেলমেটটা পর্যন্ত খুলে নিয়ে কোপাল। এরা কি মানুষ? এদের মধ্যে কি মনুষ্যত্ববোধ আছে? এরা কীসের রাজনীতি করে? যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তারা কীসের রাজনীতি করে? কার জন্য রাজনীতি করে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আর এখন তো অসুস্থ। তার বোন, ভাই, বোনের জামাই আমাদের কাছে এসেছে। আমার সঙ্গে, রেহানার সঙ্গে দেখা করেছে। কান্নাকাটি করেছে। আমি তাঁর সাজাটা স্থগিত করে তাঁকে বাসায় থাকার আর তাঁর ইচ্ছেমতো চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। একবার ভেবে দেখেন, যে আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, একটা কুলাঙ্গার পয়দা করে গেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে অস্ত্র চোরাকারবারির একটা স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল। হাতেনাতে ধরা। যে পুলিশ ধরেছে তাকে আবার শাস্তি দিয়েছে।

 

দ্রব্যমূল্য নিয়ে নানাভাবে চক্রান্ত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে তাহলে কীসের অভাব হবে। এগুলোর পেছনে কারা আছে? মজুদ করে রেখে দেবে কিন্তু বাজারে আনবে না। না এনে দাম বাড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে। এটাই তারা করে যাচ্ছে। এ ধরনের কারা মজুদ করে। মালপত্র থাকা সত্ত্বেও বাজারে না এনে জনগণের পকেট কাটার চেষ্টা করে এদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদন এতটুকু কমেনি। সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে আমরা কিনে নিয়ে আসছি। কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাবে না কেন?

 

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, প্যালেস্টাইনে আজ কী হচ্ছে? হাসপাতালে বোমা মেরেছে। আর এখানে কী দেখলাম এই বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে আগুন দেয়, অ্যাম্বুলেন্স পোড়ায়। ভাঙচুর করে। এরা কোথা থেকে কি শিক্ষা পাচ্ছে? সেটাই আমাদের প্রশ্ন।

 

নতুন তিন প্রকল্প বাংলাদেশ-ভারত উভয়ের জন্য কল্যাণকর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যৌথভাবে উদ্বোধন করা ভারতের সহায়তাপুষ্ট তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প উপ-অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

 

প্রকল্প তিনটি হলো : ১২.২৪ কিলোমিটার আখাউড়া-আগরতলা আন্তদেশীয় রেলপথ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ এবং মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্লান্টের ইউনিট-২। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি এ প্রকল্পগুলো উভয় দেশ এবং উপ-অঞ্চলের জনগণের উপকার করবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেই সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। উভয় দেশেরই একে অন্যের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।

 

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকার এবং নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের প্রার্থিতাকে সমর্থন করার জন্য। ১ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ নেপালের একমাত্র প্রার্থীকে পরাজিত করে ২০২৪ সাল থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে জয়ী হন।

 

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার অবস্থা নিয়ে উভয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অ্যাম্বাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট