ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোপালগঞ্জে টেন্ডার বিহীন হাটের চান্দিনা বিক্রয় করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

গোপালগঞ্জে টেন্ডার বিহীন হাটের চান্দিনা বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে এফ এম মারুফ রেজা নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মারুফ রেজা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। সে ইসাখালী গ্ৰামের মৃত শাহদাত আলী ফকিরের ছেলে। তিনি গত ২০২২ সালে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা ও এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রয় ১৯ বছর পূর্বে ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের মধুমতি হাট/বাজারে কেয়ার বাংলাদেশের গ্ৰামীন বাজার উন্নয়ন প্রকল্প-২০০৪ এর আওতায় (ইউ এস এ আই ডি)’র অর্থায়ন ও গোপালগঞ্জ এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে মজবুত টিন, লোহার পাত দিয়ে সেমি পাকা ৫ টি চান্দিনা ঘর তৈরি করা হয়। যেখানে প্রতি সাপ্তাহে নিরাপদে অন্তত দুই দিন হাট বাজার বসে।

 

কয়েকদিন আগে ক্ষমতাধর ও লোভী চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজা সরকারি এ সম্পদ  আত্মসাৎ করা ও ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ওই চান্দিনা গুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। পরে কৌশল করে উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে ভুল বুঝিয়ে টেন্ডার বিহীন ভাবে গোপনে নাম মাত্র টাকায় নিলাম দেখান। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ শহরের মিজান নামের এক ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীর কাছে বড় অংকের টাকায় বিক্রয় করেন।

 

এসকল অভিযোগের সত্যতা জানতে সরেজমিনে মধুমতি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীর মিজান লিবার খাটিয়ে চান্দিনার টিন, লোহার পাত ও ইট তুলে নিচ্ছেন। বেশ কিছু লোহার পাত ও টিন আগে বিক্রয় করেছেন। সরকারি চান্দিনা কেনার বিষয়ে ব্যবসায়ীর মিজান সাংবাদিকদের জানান, আমার কি দোষ? আমি মারুফ চেয়ারম্যানের কাছে থেকে নগত টাকায় কিনেছি। সরকারি চান্দিনা হলে সরকার চেয়ারম্যানের সাথে বোঝাবুঝি করুক।

এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মহসিন উদ্দিন বলেন, আমি অপসারণের জন্য মৌখিক নির্দেশ দিয়েছি। সরকারি অবকাঠামো টেন্ডার/ নিলাম বিহীন ভাবে মৌখিক নির্দেশে বিক্রয় করা যায় কি-না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।

 

 

উল্লেখ্য পূর্বে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করার অভিযোগ তুলে পরিষদের অধিকাংশ সদস্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

গোপালগঞ্জে টেন্ডার বিহীন হাটের চান্দিনা বিক্রয় করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীন, গোপালগঞ্জ অফিস :

গোপালগঞ্জে টেন্ডার বিহীন হাটের চান্দিনা বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে এফ এম মারুফ রেজা নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মারুফ রেজা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। সে ইসাখালী গ্ৰামের মৃত শাহদাত আলী ফকিরের ছেলে। তিনি গত ২০২২ সালে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা ও এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রয় ১৯ বছর পূর্বে ১নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের মধুমতি হাট/বাজারে কেয়ার বাংলাদেশের গ্ৰামীন বাজার উন্নয়ন প্রকল্প-২০০৪ এর আওতায় (ইউ এস এ আই ডি)’র অর্থায়ন ও গোপালগঞ্জ এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে মজবুত টিন, লোহার পাত দিয়ে সেমি পাকা ৫ টি চান্দিনা ঘর তৈরি করা হয়। যেখানে প্রতি সাপ্তাহে নিরাপদে অন্তত দুই দিন হাট বাজার বসে।

 

কয়েকদিন আগে ক্ষমতাধর ও লোভী চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজা সরকারি এ সম্পদ  আত্মসাৎ করা ও ব্যক্তিগত ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ওই চান্দিনা গুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। পরে কৌশল করে উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে ভুল বুঝিয়ে টেন্ডার বিহীন ভাবে গোপনে নাম মাত্র টাকায় নিলাম দেখান। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ শহরের মিজান নামের এক ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীর কাছে বড় অংকের টাকায় বিক্রয় করেন।

 

এসকল অভিযোগের সত্যতা জানতে সরেজমিনে মধুমতি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গাড়ী ব্যবসায়ীর মিজান লিবার খাটিয়ে চান্দিনার টিন, লোহার পাত ও ইট তুলে নিচ্ছেন। বেশ কিছু লোহার পাত ও টিন আগে বিক্রয় করেছেন। সরকারি চান্দিনা কেনার বিষয়ে ব্যবসায়ীর মিজান সাংবাদিকদের জানান, আমার কি দোষ? আমি মারুফ চেয়ারম্যানের কাছে থেকে নগত টাকায় কিনেছি। সরকারি চান্দিনা হলে সরকার চেয়ারম্যানের সাথে বোঝাবুঝি করুক।

এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মহসিন উদ্দিন বলেন, আমি অপসারণের জন্য মৌখিক নির্দেশ দিয়েছি। সরকারি অবকাঠামো টেন্ডার/ নিলাম বিহীন ভাবে মৌখিক নির্দেশে বিক্রয় করা যায় কি-না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।

 

 

উল্লেখ্য পূর্বে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করার অভিযোগ তুলে পরিষদের অধিকাংশ সদস্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন।


প্রিন্ট