ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক ইনডেক্সধারী শিক্ষক তথ্য গোপন করে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. জাফর মোল্যা। নিজ গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়ে চাকরি করার অভিপ্রায়ে জাফর মোল্যা নামের ওই শিক্ষক প্রকৃত তথ্য গোপন করে বিধিবহির্ভূতভাবে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ। আর প্রধান শিক্ষক মোঃ মোখলেসুর রহমান অরুন জেনেশুনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিধিভঙ্গকারী শিক্ষক জাফর মোল্যাকে ময়না এসিবোস ইইনস্টিটিউশনে নিয়োগ দিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার ময়না গ্রামের মো. জাফর মোল্যা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অবস্থিত সিদ্দিক আকবর দাখিল মাদ্রাসার শরীর চর্চার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ইনডেক্স নম্বর M০০৩৪৮৩১। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর মাধ্যমে তিনি নিয়োগ পান। তবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)-এর বিধি মোতাবেক এবার ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা আবেদনের অযোগ্য ছিল। কিন্তু জাফর মোল্যা নামের ওই শিক্ষক বিধি ভঙ্গ করে তথ্য গোপনের মাধ্যমে আবেদন করে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না এসিবোস ইনস্টিটিউশনে নিয়োগ পান। তথ্য গোপন করে এভাবে নিয়োগ পাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের জারিকৃত সার্কুলারের ১৪ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোন প্রার্থী কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত (এমপিওভূক্ত) হওয়া সত্বেও তথ্য গোপন করে আবেদন করে নির্বাচিত হন তবে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে এবং তার বিদ্যমান এমপিও বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এছাড়া ওই শিক্ষকের নিবন্ধনের সনদ ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি (স্কুল) ও দাখিল পর্যায়ের (মাদ্রাসা) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার যোগ্য। তিনি স্কুলের জেনারেল শাখায় চাকরি পেতে পারেন না।
তথ্য গোপন করে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন এবং স্কুলের জেনারেল শাখায় চাকরি নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জাফর মোল্যা এই প্রতিনিধিকে বলেন, আপনাকে চিনি না কিভাবে এ ব্যাপারে কথা বলবো।
তিনি দেখা করে সামনাসামনি কথা বলতে চাইলে এ প্রতিনিধি সাড়া না দেয়ায় এ ব্যাপারে বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মোখলেসুর রহমান অরুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে ওই শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। গত ১ অক্টোবর তিনি জয়েন করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সন্ধ্যায় কথা হবে বলে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।
প্রিন্ট