পদ্মার শাখা মাথাভাঙ্গা নদীতে দুই জেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা গ্রাম ও অপর প্রান্তে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেত বাড়িয়া গ্রামকে। এই মাথাভাঙ্গা নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় যুগ যুগ ধরে দুই প্রান্তের হাজারো মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয় নদী পারাপারে। বর্ষায় নৌকা আর শুকনোর সময় বাঁশের তৈরি সেতু দিয়েই পারাপারের একমাত্র ভরসা। তারপরে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকে।
এই মাথাভাঙ্গা নদীতে পারাপারের ভোগান্তির কথা শুনে ৭৫ কুষ্টিয়া ১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ উদ্যোগ নেয় ব্রিজ নির্মাণে। তারি ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে উপজেলার তেকালা গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন খুলনা বিআইডব্লিউটিএ-র যুগ্ম পরিচালক আশরাফ উদ্দিন ও তার সফর সঙ্গি হিসেবে ছিলেন উপসহকারী পরিচালক সোহেল রানা এবং দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন। তারা ছোট্ট এই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেন।
এ সময় এলাকাবাসীর ঢল নামে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে। স্থানীয়রা আশাবাদী ব্রিজটি নির্মান হলে ২ জেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে।
- আরও পড়ুনঃ রবিবার একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন
এ বিষয়ে ৭৫ কুষ্টিয়া ১ দৌলতপুর আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, আমি ও মেহেরপুর জেলার গাংনীয় উপজেলা এমপি সাহেব যৌথভাবে উদ্যোগনি এই ব্রিজটি তৈরি করার জন্য, ব্রিজটি স্যাংশন হলেও উচ্চতা কম হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক মহোদয় সরজমিনে তদন্ত করেন। তাদের সাথে আমার রীতিমত যোগাযোগ হয়, খুব শীঘ্রই ব্রিজের কাজ শুরু হবে, ব্রিজটি হয়ে গেলে নদী পারাপারে আর যাতায়াতের সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
প্রিন্ট