বরগুনার আমতলীতে শহীদ লেফট্যানেন্ট শেখ জামালের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সাবেক বরগুনা -৩ আমতলী তালতলীর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানিয়েছেন আমতলী তালতলীর সর্বস্তরের সাধারন মানুষ।
আমতলী উপজেলা শহর হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা বন্দর, সোনাকাটা ইকোটুরিজ্যম, তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, তালতলী জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকার মধ্যবর্তী স্থান। আমতলী হচ্ছে বরগুনা জেলার সর্ববৃহত উপজেলা ও মধ্যবর্তী স্থান।
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড: এম এ কাদের মিয়া বলেন, আমতলী উপজেলা হচ্ছে বরগুনা জেলা ও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা বন্দর, সোনাকাটা ইকোটুরিজ্যম, তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তালতলী জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকার প্রবেশদ্বার, তাই আমতলীতে শহীদ লেফট্যানেন্ট শেখ জামালের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমতলী হচ্ছে বরগুনা জেলার প্রবেশদ্বার । পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা বন্দর, সোনাকাটা ইকোটুরিজ্যম, তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর মধ্যেবর্তী স্থান। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হলে দক্ষিনাঞ্চলের অসহায় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করতে পারবে। আমি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমতলীতে শহীদ লেফট্যানেন্ট শেখ জামালের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানাই।
উল্লেখ্য গত৪ অক্টোবার বরগুনায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর আগে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন চলাকালে গত ৭ সেপ্টেম্বর নিজ হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ডিও লেটারটি পেশ করেন।
এ প্রসঙ্গে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘বরগুনার মানুষদের বহুআকাঙ্খিত একটি স্বপ্ন হচ্ছে,এ জেলায় একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে। তাদের এ দাবি জাতীয় সংসদেও আমি বহুবার তুলেছিলাম। কিছুদিন আগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মোস্তফা জামালসহ গণ্যমান্য কিছু ব্যক্তি আমার সাথে দেখা করে বরগুনায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাদের এ আগ্রহ দেখে আমি খুব খুশি হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৭ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন চলাকালেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজো ছেলে শহীদ লেফট্যানেন্ট শেখ জামালের নামে বরগুনায় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য আমি নিজ হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার দেই। সে সময় বরগুনায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা এবং বরগুনার ভৌত অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়নসহ পায়রা ব্রিজের অগ্রগতি নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার আলাপ হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একসময় এই বরগুনারই সংসদ সদস্য ছিলেন, তাই বরগুনার প্রতি তিনি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি তখনই আমাকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, প্রস্তাবটি তিনি অত্যন্ত সদয়দৃষ্টিতে বিবেচনা করবেন।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হলো বরগুনার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতটা সহানুভূতিশীল।’
প্রিন্ট