গোপালগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রনজিৎ রায় (৮২) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার ছেলে ঝন্টু রায় (৩০) কেও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ সদরের উরফি গ্রামের মালোপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে রনজিৎ রায়ের ছেলে বাবু রায় উরফি ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামের মালোপাড়া সেতুর ওপর বসে ছিল। এ সময় বাবু রায় সেতুর উপর থাকা মিল্টন খাঁনের মুখের ওপর টর্চ লাইটের আলো ফেলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবু রায়কে চড়-থাপ্পড় মারেন মিল্টন। পরে বাবু বাড়িতে গিয়ে বাবা রনজিৎ রায় ও ভাইকে জানায়। পরে তারা বাবুকে মারার কারণ জানতে চাইলে মিল্টন খান ও তার লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পর মিল্টন খাঁন তার ছোট ভাই শিপন খাঁন ও তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রনজিৎ রায় ও তার ছেলেদের ওপর হামলা চালিয়ে রনজিৎ রায় (৮২) ও ঝন্টু রায়কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রনজিৎ রায়কে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী মিল্টন খাঁন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ডুমদিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্ৰামের মৃত মাহাবুল খাঁন ছেলে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান দৈনিক সময়ের প্রত্যশা কে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই গ্ৰামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে মিল্টন খাঁন ও শিপন খাঁন সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট