ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ভুবেনেশ্বর নদে কুমিরের দেখা মিললেও কুমিরটি উদ্ধারে এখনও দৃশ্যত কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার ১১ অক্টবর বিকেলের দিকে ঐ ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে কুমিরটি দেখেতে পায় স্থানীয়রা।
কুমিরটি দেখে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।পরে এলাকাবাসিকে সতর্ক করতে এশার নামাজের পর মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।খবর পেয়ে রাতেই চরভদ্রাসন থানা পুলিশ স্থানটি পরিদর্শন করেছে।
সরেজমিনে রাত ১১ টার দিকে ঐ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছে একটি বাঁশের সাঁকোর নিচে কুমিরটি অবস্থান করছে।১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পানি থেকে মাথা উঠিয়ে আবার ডুব দিচ্ছে কুমিরটি।
ঐ গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল ব্যাপারীর ছেলে সুজন জানায় কুমিরের বিষয়টি সন্ধ্যার পরে এলাকায় জানা জানি হয় এবং পরে এ ব্যাপারে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসিকে সতর্ক করা হয়।
ঐ গ্রামের আরেক বাসিন্দা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কাউছার ব্যাপারী বলেন কুমিরের খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন কিন্তু কুমিরটি উদ্ধারে এখনও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরের খোজে পুনরায় ঐ গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কুমিরটি পূর্বের স্থান হতে প্রায় এক কি:মি:দুরে ভাটিতে তেলিডাঙ্গী এলাকার সিকদার ডাঙ্গী অবস্থান করছে। সেখানে নদের পানিতে কিছু সময় পর পর মাথা তুলে আবার ডুব দেয় কুমিরটি। এসময় কুমির দেখেতে নানা বয়সী উৎসুক মানুষকে রাস্তার দুই পাশে ভীড় করতে দেখো গেছে।
কুমিরটি উদ্ধারে বুধবার রাত হতে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় শংকা প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন এই নদের পানিতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা গোসল করার পাশাপাশি গবাদি পশু গোসল করানো হয়। এখনও কুমিরটি উদ্ধার না হওয়ায় আতংকে রয়েছে তারা।
- আরও পড়ুনঃ মুকসুদপুরে অজ্ঞাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার
কুমিরটি উদ্ধারের বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী মোর্শেদ বলেন কুমিরের বিষয়টি আমি বনবিভাগসহ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। সংশ্লিষ্টরা খুব শীঘ্রই কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করবে।
প্রিন্ট