ঢাকা , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ার হাতের মেহেদী রং না শুকাতেই নববধু গলায় ফাস দিয়ে প্রাণ দিলো

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ের ৪দিন পর লিপিয়ারা খাতুন (২০) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

১ অক্টোবর, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি হাতিশালাপাড়া গ্রামে স্বামীর ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নববধূ একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের মুসলিমনগর গ্রামের এরশাদ সরদারে মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার নববধূ লিপিয়ারা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের একদিন পর স্বামীসহ সে মুসলিমনগর গ্রামে বাবার বাড়ি যায়।

৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার রাতে স্বামীর সাথে লিপিয়ারা খাতুন শ্বশুর বাড়িতে আসে। রবিবার সকালে স্বামীর ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত নববধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। লিপিয়ারা খাতুনের অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল এবং তার গর্ভে ৩মাসের সন্তানও ছিল বলে স্থানীয়দের অভিমত। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানা পুলিশ।

 

 

এদিকে বিয়ের মাত্র ৪দিনের পর হাতের মেহেদী রং না শুকাতেই নববধুর এমন মৃত্যু নিয়ে মেয়ের বাবা ও শ্বশুর উভয় পরিবারের মাঝে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ার হাতের মেহেদী রং না শুকাতেই নববধু গলায় ফাস দিয়ে প্রাণ দিলো

আপডেট টাইম : ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ের ৪দিন পর লিপিয়ারা খাতুন (২০) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

১ অক্টোবর, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি হাতিশালাপাড়া গ্রামে স্বামীর ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নববধূ একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের মুসলিমনগর গ্রামের এরশাদ সরদারে মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার নববধূ লিপিয়ারা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের একদিন পর স্বামীসহ সে মুসলিমনগর গ্রামে বাবার বাড়ি যায়।

৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার রাতে স্বামীর সাথে লিপিয়ারা খাতুন শ্বশুর বাড়িতে আসে। রবিবার সকালে স্বামীর ঘরে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত নববধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। লিপিয়ারা খাতুনের অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল এবং তার গর্ভে ৩মাসের সন্তানও ছিল বলে স্থানীয়দের অভিমত। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর থানা পুলিশ।

 

 

এদিকে বিয়ের মাত্র ৪দিনের পর হাতের মেহেদী রং না শুকাতেই নববধুর এমন মৃত্যু নিয়ে মেয়ের বাবা ও শ্বশুর উভয় পরিবারের মাঝে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন।


প্রিন্ট