ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোপালগঞ্জের কৃতিসন্তান হাবিবুর রহমান ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ( ডিএমপি) কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান।  বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর  ২০২৩ দায়িত্ব নিবেন নবনিযুক্ত পুলিশের ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। বর্তমান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী  ৩০ সেপ্টেম্বর  ২০২৩।

 

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিরাজাম মুনিরা।

 

হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালে ১ জানুয়ারী  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মক্ষেত্রে সততা, সাহসিকতা,  মানসিকতা ও দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরুপ দুইবার বাংলাদেশ পুলিশের বিপিএম ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম পেয়েছেন।

 

তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের আগে সাংবাদিকতা পেশার সাথে কাজ করেছেন এবং পেশাগত জীবনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত  রয়েছেন। হাবিবুর রহমান ২০১৮ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে একটি বই সম্পাদনা করেন।  বইটির নামকরণ করেন “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ”। তিনি বেদে জনগোষ্ঠী, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার যৌনপল্লী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে কাজ করেছেন। এছাড়াও দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর শিশুদের জন্য উওরণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন তৈরী করেছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে টেলিকম ভবনে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়াতে ও তার ভূমিকা প্রশংশনীয়।

 

হাবিবুর রহমান হাবিব একজন ক্রীড়া সংগঠক এবং বাংলাদেশ কাবাডি নিয়ে কাজ করেছেন।  তিনি কাবাডি ফেডারেশনর সাধারণ সম্পাদক। হাবিবুর রহমান হাবিব ছেলেবেলা থেকেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, মানবতার জন্য কাজ করেছেন। তিনি মাটি ও মানুষকে ভালবাসতেন। তিনি গর্বিত গোপালগঞ্জে সন্তান। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন কবিতা,  তিনি ছাএ সময় শিক্ষকতা করেছেন। তিনি অসহায় দরিদ্র মানুষের কথা শুনতে ভালবাসেন এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী সকলের পাশে থাকেন।

 

তিনি বলেন এই বাংলার মাটি আমার মা! এদেশের সকলেই আমার আপন! আমি মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার কাজের সার্থকতা। তিনি বলেছেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম নয়, একটি সংগ্রামের প্রতিক। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কালজয়ী মহান নেতাকে পেয়ে আমরা বাঙালি জাতি গর্বিত। বঙ্গবন্ধু বলতেন “আমার বাংলার মাটি, তোমায় আমি রাখব পরিপাটি” তার এই অমর কথা নিয়ে তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ!


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

গোপালগঞ্জের কৃতিসন্তান হাবিবুর রহমান ডিএমপি কমিশনার

আপডেট টাইম : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহিন, গোপালগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ( ডিএমপি) কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান।  বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর  ২০২৩ দায়িত্ব নিবেন নবনিযুক্ত পুলিশের ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। বর্তমান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী  ৩০ সেপ্টেম্বর  ২০২৩।

 

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিরাজাম মুনিরা।

 

হাবিবুর রহমান ১৯৬৭ সালে ১ জানুয়ারী  গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মক্ষেত্রে সততা, সাহসিকতা,  মানসিকতা ও দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরুপ দুইবার বাংলাদেশ পুলিশের বিপিএম ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম পেয়েছেন।

 

তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের আগে সাংবাদিকতা পেশার সাথে কাজ করেছেন এবং পেশাগত জীবনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখি ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত  রয়েছেন। হাবিবুর রহমান ২০১৮ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরে একটি বই সম্পাদনা করেন।  বইটির নামকরণ করেন “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ”। তিনি বেদে জনগোষ্ঠী, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার যৌনপল্লী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে কাজ করেছেন। এছাড়াও দৌলতদিয়ার যৌনপল্লীর শিশুদের জন্য উওরণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন তৈরী করেছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে টেলিকম ভবনে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়াতে ও তার ভূমিকা প্রশংশনীয়।

 

হাবিবুর রহমান হাবিব একজন ক্রীড়া সংগঠক এবং বাংলাদেশ কাবাডি নিয়ে কাজ করেছেন।  তিনি কাবাডি ফেডারেশনর সাধারণ সম্পাদক। হাবিবুর রহমান হাবিব ছেলেবেলা থেকেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, মানবতার জন্য কাজ করেছেন। তিনি মাটি ও মানুষকে ভালবাসতেন। তিনি গর্বিত গোপালগঞ্জে সন্তান। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন কবিতা,  তিনি ছাএ সময় শিক্ষকতা করেছেন। তিনি অসহায় দরিদ্র মানুষের কথা শুনতে ভালবাসেন এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী সকলের পাশে থাকেন।

 

তিনি বলেন এই বাংলার মাটি আমার মা! এদেশের সকলেই আমার আপন! আমি মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার কাজের সার্থকতা। তিনি বলেছেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম নয়, একটি সংগ্রামের প্রতিক। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কালজয়ী মহান নেতাকে পেয়ে আমরা বাঙালি জাতি গর্বিত। বঙ্গবন্ধু বলতেন “আমার বাংলার মাটি, তোমায় আমি রাখব পরিপাটি” তার এই অমর কথা নিয়ে তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ!


প্রিন্ট