নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গভীর সমুদ্রে একটি ফিশিং ট্রলারে প্রতিপক্ষের হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আমতলী ঘাটের আমির হোসেন কোম্পানীর ট্রলারের ৭ মাঝি মাল্লা আহত হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আহত ৭ জন মাঝি মাল্লাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাতিয়ার দমারচর থেকে গ্যাস ফিল্ডের প্রায় ৮০ কিমি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রোববার বিকেলে বিটু মাঝির ট্রলার সাগরে জাল টানা অবস্থায় আনোয়ার মাঝির ট্রলার উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ওই ট্রলারের সাথে লাগিয়ে হঠাৎ আক্রমণ করে বেদম মারধর শুরু করে। দিকবিদিক হারিয়ে অনেকে নদী ঝাপ দিয়ে পড়ে। এ সময় আনোয়ার মাঝির লোকজন দুই হাজার ৫ শতটি ইলিশ মাছ, দুইশত ফ্লুট জাল নিয়ে যায়। সে সাথে ইঞ্জিনের প্রেশার পাইপ পিটিয়ে ভেঙ্গে ট্রলারটি অকেজো করে দিয়ে যায়। পরে সামরাজের অন্য একটি বোট তাদেরকে ট্রলারটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এনে দেয়। সেখান থেকে মাঝি মাল্লার মোবাইল ফোনে কোম্পানীর সাথে যোগায়োগ করলে মালিক ট্রলার নিয়ে তাদেরকে আমতলী ঘাটে নিয়ে আসে। আহত সাত জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার আমির হোসেন কোম্পানীর ‘মা বাবার দোয়া নিহা মামনি ২’ ট্রলারের চেরাং মো. বিটু জানায়, এক মাস পূর্বে স্থানীয় তমরদ্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফররুখ আহমদের ফিশিং বোটের আনোয়ার মাঝির জালের সাথে আহত বিটু মাঝির জাল ফেলা নিয়ে সাগরে কথা কাটাকাটি ও বিবাদের ঘটনা ঘটে। পরে জাহাজমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১নং ওয়ার্ডের খোকন মেম্বার, বোট মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ডের বেলাল মেম্বারের ছোট ভাই বোট মালিক দুলাল উদ্দিনসহ সমঝোতার উদ্দেশ্যে এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দুই ট্রলার একযোগে সাগরের আসা যাওয়ার সূচী একসাথ না হওয়ায় বৈঠকটির বিলম্ব ঘটার কারণে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমির হোসেন কোম্পানী জানান, আহত ও লুটপাটের বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি যদি বিহীত ব্যবস্থা না করেন তবে আমি আইনের আশ্রয় নিব।
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, হামলার ঘটনাটি মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট