সুবর্ণচর-রামগতি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভুলুয়া খালের ওপর ৩০ বছর আগে স্থাপিত বেইলি সেতুর ওপর দিয়ে ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। মেয়াদোত্তীর্ণ ৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থের এই সেতুর পাটাতনে মরিচা ধরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
রামগতি উপজেলার চর আফজল গ্রামের রিকশাচালক রাকিব বলেন, রিকশায় যাত্রী নিয়ে এই সেতু পারাপার সম্ভব নয়। রিকশার চাকা মরিচা ধরা স্টিলের পাটাতনের ফাঁকে আটকে যায়। রাতের বেলা তো দূরের কথা, দিনের বেলাও এই সেতুর ওপর দিয়ে রিকশা চালানো অসম্ভব।
চররমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ্জাহান বলেন, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণাঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের পথ চররমিজ ইউনিয়নের এই বেইলি সেতুটির দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এ অবস্থা। পাটাতনে মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ছিদ্র হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা কিংবা মোটরসাইকেলও চলাচল করতে পারে না। হেঁটে লোকজন চলাচল করে। এতে ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি মানুষের সময়েরও অপচয় হচ্ছে।
- আরও পড়ুনঃ নলছিটিতে জমজমাট কোচিং বাণিজ্য
সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু বলেন, সেতুটি সুবর্ণচর ও রামগতি উপজেলার মধ্যে চলাচলের একমাত্র পথ। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সেতুটি ভেঙে জরুরিভিত্তিতে পাকা সেতু নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি।
প্রিন্ট