ঝালকাঠির নলছিটিতে বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে এসে গাছের চারা বিক্রির ধুম চলছে। চাহিদামত বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি। মূলত বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে গাছের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হওয়ায় ক্রেতারা তাদের পছন্দের গাছের চারাগুলো ক্রয় করে বাড়ির আশেপাশে ও বিভিন্ন ফলগাছের চাষীরা তাদের বাগানে চারাগুলো রোপন করে থাকেন।
নলছিটিতে সাপ্তাহিক হাট রবিবার ও বুধবার উপজেলার সুগন্ধা নদীর তীর সংলগ্ন পুরনো ষ্টিমারঘাট এলাকায় গাছের চারাগুলো বিক্রেতা নিয়ে আসেন । হাটের দিন ক্রেতা ও বিক্রেতা মিলে শতশত লোকের সমাগম ঘটে থাকে। বিক্রিও হয় লক্ষ টাকার গাছের চারা,জানিয়েছেন বিক্রেতা আলী আকবরসহ আরও কয়েকজনে।
তারা জানান, এখানে মূলত আম,আমড়া,কাঠাল,লেবু,পেয়ারা,মে হগনি ও চাম্বল গাছের চারা বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া কিছু ওষুধী গাছের চারাও পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছের চারা সর্বনিন্ম ৩০টাকা থেকে শুরু করে গাছের সাইজ অনুযায়ী তিন হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়।
বিক্রেতা আকবর আলি জানান, নলছিটিতে সপ্তাহে দুইদিন হাট বসে আমি দুইদিনই গাছের চারা বিক্রি করি। প্রায় ত্রিশ প্রকারের চারা আমাদের কাছে রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধী,ফুল গাছের চারাসহ অন্যান্য সব ধরনের গাছের চারা আছে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে চারা রোপন করলে চারা মরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে তাই ক্রেতারা মূলত এই সময়ে চারা ক্রয় করে থাকেন।
ক্রেতা নাঈমুর রহমান জানান, নলছিটির এই হাট নদীর তীরবর্তী হওয়ায় বিক্রেতারা নদী পথে চারাগুলো পরিবহন করেন যার কারণে চারাগুলো সতেজ থাকে। আমরাও ক্রয় করে নদী পথে পরিবহন করতে পারি। নদী পথে পরিবহনে ঝাকি কম হওয়ায় গাছের চারার গোড়ার মাটিগুলো শক্ত থাকে যার কারণে চারাগুলা রোপন করার পর মরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তাই এখান থেকে আমার পছন্দের কিছু চারা ক্রয় করতে এসেছি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সহিদ উদ্দিন বলেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাছের চারা রোপনের উপযুক্ত সময় তাই এখানের হাটগুলোতে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে বনায়নের কোন বিকল্প নেই। আমাদের পক্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলার হদুয়া এলাকায় প্রায় ১০কিলোমিটার এলাকায় গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। যেহেতু নলছিটির হাটের সব ধরনের গাছের চারা পাওয়া যায় তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি ফলজ ও ওষুধী গাছের চারা রোপন করা।
প্রিন্ট