ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর ও সোনীয়া Logo কুষ্টিয়া সদরে আবারও আতা, খোকসায় শান্ত চেয়ারম্যান Logo গোপালগঞ্জের ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিমল, বাবুল ও কামরুজ্জামান এর বিজয় Logo লাল গামছা ধরা দেখে ট্রেন থামান চালক,রক্ষা পেল কয়েকশ যাত্রী Logo খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী Logo কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন! Logo কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিটু সুমন ও টুকটুকি বিজয়ী Logo ফরিদপুর তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা Logo তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও সোনিয়া নির্বাচিত Logo বাঘায় তিরস্কারমূূলক কথা বলার জেরে মারধর, আহত-৪
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৭

- র‌্যাব কার্যালয়ে গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন।

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘আসামিরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের গ্রুপে প্রায় ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্যাংটি রাফাত, তুষার ও আনোয়ারের নেতৃত্বে বিগত ৪-৫ বছর পরিচালিত হয়ে আসছিল।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আরমান নামের এক যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ধারণ ও পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বাগেরহাট ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৬-এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারা হলেন- আহমেদ খান, মো. হাসান ওরফে গুটি হাসান, হানিফ হোসেন জয়, রমজান ও মো. রাজু। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় রাফিদুল ইসলাম রানা ওরফে রাফাত ও তুষার হাওলাদার।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘সম্প্রতি কতিপয় সন্ত্রাসী রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আরমান নামক এক যুবকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে তার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। এই ঘটনায় ২৭ আগস্ট ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মোহাম্মদ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।’

তিনি বলেন, ‘আসামিরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের গ্রুপে প্রায় ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্যাংটি রাফাত, তুষার ও আনোয়ারের নেতৃত্বে বিগত ৪-৫ বছর পরিচালিত হয়ে আসছিল। এই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাদক সেবনসহ মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত ছিল তারা। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা রাস্তাঘাটে ইভটিজিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ভুক্তভোগী আরমানের বাম হাতে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে কব্জি বিচ্ছিন্ন করে এবং রাফাত ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে ভুক্তভোগী আরমানের ডান হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে বলে জানা যায়।’

 

 

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও বলেন, ‘ইতোপূর্বেও তারা বিভিন্ন সময়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভুক্তভোগীকে একই কায়দায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হামলা করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করত। পরে এ সকল নৃশংসতার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিত তারা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও মিরপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী বাহিনীরা সরব হচ্ছে, এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী ব্যবস্থা নেবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০১৭ সালের র‍্যাব প্রথম কিশোর গ্যাং কালচার আবিষ্কার করে। আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। পদক্ষেপ নেয়ার পরও এই সমস্ত কার্যক্রম থেকে অনেকে সরে আসছে না।

‘শোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত ১১শ’ সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। সারা বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং দমনে ও এর সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর ও সোনীয়া

error: Content is protected !!

কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৭

আপডেট টাইম : ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘আসামিরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের গ্রুপে প্রায় ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্যাংটি রাফাত, তুষার ও আনোয়ারের নেতৃত্বে বিগত ৪-৫ বছর পরিচালিত হয়ে আসছিল।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আরমান নামের এক যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ধারণ ও পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বাগেরহাট ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২ ও র‍্যাব-৬-এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারা হলেন- আহমেদ খান, মো. হাসান ওরফে গুটি হাসান, হানিফ হোসেন জয়, রমজান ও মো. রাজু। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় রাফিদুল ইসলাম রানা ওরফে রাফাত ও তুষার হাওলাদার।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘সম্প্রতি কতিপয় সন্ত্রাসী রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আরমান নামক এক যুবকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে তার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। এই ঘটনায় ২৭ আগস্ট ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মোহাম্মদ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।’

তিনি বলেন, ‘আসামিরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের গ্রুপে প্রায় ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্যাংটি রাফাত, তুষার ও আনোয়ারের নেতৃত্বে বিগত ৪-৫ বছর পরিচালিত হয়ে আসছিল। এই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাদক সেবনসহ মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত ছিল তারা। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা রাস্তাঘাটে ইভটিজিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ভুক্তভোগী আরমানের বাম হাতে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে কব্জি বিচ্ছিন্ন করে এবং রাফাত ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে ভুক্তভোগী আরমানের ডান হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে বলে জানা যায়।’

 

 

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও বলেন, ‘ইতোপূর্বেও তারা বিভিন্ন সময়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভুক্তভোগীকে একই কায়দায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হামলা করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করত। পরে এ সকল নৃশংসতার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিত তারা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও মিরপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী বাহিনীরা সরব হচ্ছে, এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী ব্যবস্থা নেবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০১৭ সালের র‍্যাব প্রথম কিশোর গ্যাং কালচার আবিষ্কার করে। আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। পদক্ষেপ নেয়ার পরও এই সমস্ত কার্যক্রম থেকে অনেকে সরে আসছে না।

‘শোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত ১১শ’ সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। সারা বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং দমনে ও এর সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’