রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আরমান নামের এক যুবকের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও ধারণ ও পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বাগেরহাট ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ ও র্যাব-৬-এর সদস্যরা।
গ্রেপ্তারা হলেন- আহমেদ খান, মো. হাসান ওরফে গুটি হাসান, হানিফ হোসেন জয়, রমজান ও মো. রাজু। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় রাফিদুল ইসলাম রানা ওরফে রাফাত ও তুষার হাওলাদার।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘সম্প্রতি কতিপয় সন্ত্রাসী রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আরমান নামক এক যুবকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে তার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। এই ঘটনায় ২৭ আগস্ট ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মোহাম্মদ থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আসামিরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের গ্রুপে প্রায় ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্যাংটি রাফাত, তুষার ও আনোয়ারের নেতৃত্বে বিগত ৪-৫ বছর পরিচালিত হয়ে আসছিল। এই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করত।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাদক সেবনসহ মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত ছিল তারা। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা রাস্তাঘাটে ইভটিজিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর ভিডিও শেয়ারসহ বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ভুক্তভোগী আরমানের বাম হাতে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে কব্জি বিচ্ছিন্ন করে এবং রাফাত ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে ভুক্তভোগী আরমানের ডান হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে বলে জানা যায়।’