ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পুলিশের সাথে বিএনপি’র সংষর্ষের মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আসামি

মাগুরার মহম্মদপুরে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা, সংঘর্ষ ও তাদের ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান এবং তিনটি মটরসাইকেল ভাংচুর এবং সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হাতে থানার ওসি তদন্তসহ ৫ পুলিশ অফিসার ও একজন কনেষ্টবেল আহত হওয়ার ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় দেড় হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মামলা হয়েছে। এ মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের এক সক্রিয় সদস্যের নাম এজাহারভূক্ত করে গ্রেফতার করায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এক লিখিত বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েন। এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ ফেসবুক লাইভে এসে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

 

১লা সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ মৈমুর আলী মৃধা, সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান ও একাধিক সিনিয়র নেতার নেতৃত্বে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরে প্রবেশ করলে পুলিশের বাধার সম্মুখিন হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয় হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা দ্বায়িত্বরত পুলিশের উপর লাঠি সোটা এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আক্রমন শুরু করেন। এ সময় পুলিশের ওসি তদন্ত মুন্সি রাসেলসহ একাধিক অফিসার আহত হন।

 

বিএনপি’র সাথে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনায় ২ সেপ্টম্বর শনিবার সকালে দেড় হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে শনিবার সকালে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাদশা মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিন রাতেই উপলোর ছাত্রলীগের সদস্য মৃন্ময় তেওয়াী বাপ্পাকে গ্রেফতার করে পরদিন রবিবার সকালে জেল-হাজাতে প্রেরণ করেন পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মামুনুর রশীসসহ একাধিক নেতা-কমী থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে বাপ্পাকে ছেড়ে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্ত পরদির সকালে তাকে মাগুরার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করলে ছাত্রলীগের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ ফেসবুক লাইভে এসে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। সোমবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতি তে তিনি বলেন, প্রবাহমান কালধরে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সকল ষড়যন্ত্র ছাত্রলীগ দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করে আসছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য বাপ্পাকে যে ষড়যন্ত্রে ফাঁসানো হয়েছে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমরা শীঘ্রই তাকে জেল থেকে মুক্ত করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবো।

 

এ বিষয়ে বাপ্পার চাচা উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক খৃষ্টান হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য শ্রী কানু তেওয়ারী বলেন, গ্রেফতারের পর আমি থানায় গেলে তাকে ছেড়ে দিবেন বলে ওসি সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করেছিন। কিন্তু তাকে ছাড়েনি।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের মামুনুর রশীদ বিপ্লব বলেন, বাপ্পা ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তাকে ফাঁসাতে ইচ্ছে করেই এ মামলার আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ ইচ্ছে করলে তাকে ছেড়ে দিতে পারতেন। একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক কে বিএনপি’র ষড়যন্ত্রের এ মামলায় আসামি করা ঠিক হয়নি। এতে আমার সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদে জানিয়ে লিখিতভাবে বিবৃতি জানিয়েছি।

 

 

মহম্মদপুর থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মামলার এজাহারে তার নাম দেওয়া হয়েছে। তবে সে ছাত্রলীগ কর্মী আমার জানা ছিল না। নেতাদের সুপারিশে জামিন যোগ্য ধারায় তাকে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

error: Content is protected !!

পুলিশের সাথে বিএনপি’র সংষর্ষের মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আসামি

আপডেট টাইম : ০২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মো. কামরুল হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি :

মাগুরার মহম্মদপুরে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা, সংঘর্ষ ও তাদের ব্যবহৃত একটি পিকআপভ্যান এবং তিনটি মটরসাইকেল ভাংচুর এবং সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হাতে থানার ওসি তদন্তসহ ৫ পুলিশ অফিসার ও একজন কনেষ্টবেল আহত হওয়ার ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় দেড় হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মামলা হয়েছে। এ মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের এক সক্রিয় সদস্যের নাম এজাহারভূক্ত করে গ্রেফতার করায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এক লিখিত বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েন। এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ ফেসবুক লাইভে এসে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

 

১লা সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিএনপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ মৈমুর আলী মৃধা, সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান ও একাধিক সিনিয়র নেতার নেতৃত্বে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরে প্রবেশ করলে পুলিশের বাধার সম্মুখিন হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয় হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা দ্বায়িত্বরত পুলিশের উপর লাঠি সোটা এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আক্রমন শুরু করেন। এ সময় পুলিশের ওসি তদন্ত মুন্সি রাসেলসহ একাধিক অফিসার আহত হন।

 

বিএনপি’র সাথে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনায় ২ সেপ্টম্বর শনিবার সকালে দেড় হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে শনিবার সকালে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাদশা মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিন রাতেই উপলোর ছাত্রলীগের সদস্য মৃন্ময় তেওয়াী বাপ্পাকে গ্রেফতার করে পরদিন রবিবার সকালে জেল-হাজাতে প্রেরণ করেন পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মামুনুর রশীসসহ একাধিক নেতা-কমী থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে বাপ্পাকে ছেড়ে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্ত পরদির সকালে তাকে মাগুরার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করলে ছাত্রলীগের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ ফেসবুক লাইভে এসে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। সোমবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতি তে তিনি বলেন, প্রবাহমান কালধরে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সকল ষড়যন্ত্র ছাত্রলীগ দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করে আসছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য বাপ্পাকে যে ষড়যন্ত্রে ফাঁসানো হয়েছে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমরা শীঘ্রই তাকে জেল থেকে মুক্ত করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবো।

 

এ বিষয়ে বাপ্পার চাচা উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক খৃষ্টান হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য শ্রী কানু তেওয়ারী বলেন, গ্রেফতারের পর আমি থানায় গেলে তাকে ছেড়ে দিবেন বলে ওসি সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করেছিন। কিন্তু তাকে ছাড়েনি।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের মামুনুর রশীদ বিপ্লব বলেন, বাপ্পা ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তাকে ফাঁসাতে ইচ্ছে করেই এ মামলার আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ ইচ্ছে করলে তাকে ছেড়ে দিতে পারতেন। একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক কে বিএনপি’র ষড়যন্ত্রের এ মামলায় আসামি করা ঠিক হয়নি। এতে আমার সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদে জানিয়ে লিখিতভাবে বিবৃতি জানিয়েছি।

 

 

মহম্মদপুর থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মামলার এজাহারে তার নাম দেওয়া হয়েছে। তবে সে ছাত্রলীগ কর্মী আমার জানা ছিল না। নেতাদের সুপারিশে জামিন যোগ্য ধারায় তাকে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


প্রিন্ট