ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo এসএসসি ফলাফলে খুশি নয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নয়াদিল্লিতে ভারতীয় কর্মকর্তা

ভারতের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত

ভারতের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্মিতা পন্ত। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্মিতা পন্ত বলেন, ভারতের ভবিষ্যৎ বিশেষ করে এর নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সুন্দরবনের বদ্বীপ সুরক্ষা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে বাংলাদেশ। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ জাতিসংঘে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায়।

 

ভারতীয় কর্মকর্তা স্মিতা পন্ত বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে অপরাধীরা তার মূল্যবোধ নির্মূল করতে পারেনি। তার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসে যার সমকক্ষ কম।

 

অনুষ্ঠানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি মডেল। সাম্য, ন্যায়বিচার, মৌলিক মানবাধিকার এবং বিশেষত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার উপলব্ধির জন্য লড়াই করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তার রাজনৈতিক দর্শন বিকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে প্রথম ভাষণে বঙ্গবন্ধু সবার জন্য শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংগ্রামই শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সর্বজনীন সংগ্রামের প্রতীক।’

 

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কিন্তু তারা এ মহান ব্যক্তির নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। তার শিক্ষা, মতাদর্শ ও চেতনা মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে আছে।

 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিসংখ্যান এখন পাকিস্তান এবং কিছু পরিস্থিতিতে ভারতের চেয়েও ভালো বলে তিনি একমত পোষণ করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

নয়াদিল্লিতে ভারতীয় কর্মকর্তা

ভারতের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত

আপডেট টাইম : ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

ভারতের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্মিতা পন্ত। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্মিতা পন্ত বলেন, ভারতের ভবিষ্যৎ বিশেষ করে এর নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারে। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সুন্দরবনের বদ্বীপ সুরক্ষা করতে পারে। তিনি আরও বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে বাংলাদেশ। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ জাতিসংঘে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায়।

 

ভারতীয় কর্মকর্তা স্মিতা পন্ত বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে অপরাধীরা তার মূল্যবোধ নির্মূল করতে পারেনি। তার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসে যার সমকক্ষ কম।

 

অনুষ্ঠানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি মডেল। সাম্য, ন্যায়বিচার, মৌলিক মানবাধিকার এবং বিশেষত আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার উপলব্ধির জন্য লড়াই করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তার রাজনৈতিক দর্শন বিকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে প্রথম ভাষণে বঙ্গবন্ধু সবার জন্য শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংগ্রামই শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সর্বজনীন সংগ্রামের প্রতীক।’

 

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কিন্তু তারা এ মহান ব্যক্তির নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। তার শিক্ষা, মতাদর্শ ও চেতনা মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে আছে।

 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিসংখ্যান এখন পাকিস্তান এবং কিছু পরিস্থিতিতে ভারতের চেয়েও ভালো বলে তিনি একমত পোষণ করেন।


প্রিন্ট