মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ারর্ডের কাশিনাথপুর গ্রামে বিষধর সাপের ভয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হুসাইন (৭) মৃত্যুবরণ করেছে। মঙ্গলবার ৮ জুলাই সকালে হুসাইন মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ৭ জুলাই রাত ১২.৩০ টার সময় আপন বোন অহনার সাথে একবিছানায় শুয়ে ছিলো হুসাইন। হঠাৎ করে অহনার পায়ে বিষধর বড় ডোরাকাটা সাপ পা পেছিয়ে জড়িয়ে ধরে, তখন অহনার ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে সাপ দেখতে পায়। এরপর তারা সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। হুসাইনকে দ্রুত ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঝা দেখে শুনে বলে সাপে কামড়ায়নি, ভয় পেয়েছ, ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হুসাইনের মায়ের সন্দেহ প্রবণ বাড়তে থাকলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় তার হার্ট ব্লক হয়ে গেছে।
হুসাইন মাগুরা সিভিল সার্জনের গাড়ি চালক মোঃ দুলাল মোল্লার একমাত্র পুত্র।
এব্যাপারে আজ সকালে মাগুরা সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ্ দেওয়ান নিজে গাড়ি চালক দুলাল মোল্লার বাড়িতে হুসাইনকে দেখতে আসেন এবং মরহুমের পরিবারকে শান্তনা দেন। তিনি বলেন, ডোরাকাটা আকৃতির সাপগুলো সাধারণত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষধর প্রকৃতির সাপের জাত। এই সাপের লালা অত্যন্ত বিষময়, হতে পারে শিশু হুসাইনের শরীরে তীব্র বীষের লালা প্রবেশ করে হার্ট ব্লক হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার সাইমুন নেছা বলেন, বিষধর সাপে কামড়ালে ওঝার কাছে না নিয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া উচিৎ। কারণ সাপে কামড়ালে দ্রুত এন্টিভোমিন ইনজেকশন শরীরে দিতে পারলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, এখন বর্ষাকালে গ্রামের বাড়িতে প্রচুর বিষদর সাপের উপদ্রব হয়, তাই প্রতিটা বাড়ির আনাচে-কানাচেতে আগাছা গাছগুলো কেটে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং ঘরবাড়ি বাইরে ও ভিতর পরিস্কার রাখতে জনসচেতনতা বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় পাশ্ববর্তী এলাকা ও কাশিনাথপুর এলাকা থেকে লোকজন হুসাইনকে দেখতে ভিড় জমান বাড়িতে ও সবাই দুঃখ প্রকাশ করেন।
প্রিন্ট