এর মধ্যে জানা গেছে, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া ছড়ানো মশা ধীরে ধীরে নির্মূল করতে গবেষণাগারে বিশেষ মশা তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) গবেষণাগারে শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিশেষ মশার লার্ভা থেকে জন্ম নেওয়া মশার শরীরে ওই দুই ভাইরাস থাকবে না।
আইসিএমআর-এর ভিসিআরসি’র পরিচালক ডা. অশ্বিনী কুমার বলেন, গবেষণাগারে এমন বিশেষ স্ত্রী মশা তৈরি করা হচ্ছে যাদের লার্ভা থেকে জন্ম নেওয়া মশার শরীরে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস থাকবে না। আমরা এমন স্ত্রী মশা পরিবেশে ছেড়ে দেব যা পুরুষ মশার সংস্পর্শে এসে এমন লার্ভা তৈরি করবে, যাতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া দূর হবে। আমরা মশা আর ডিম প্রস্তুত করে রেখেছি এবং যে কোনও সময় এগুলো ছেড়ে দিতে পারি।
ওলবাচিয়া মেথড
এদিকে চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলায় ডিএনডিআই ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এ নিয়ে চুক্তি করেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসের দাপট কমাতে সাহায্য করছে ব্যাকটেরিয়া। ওলবাচিয়া নামের ব্যাকটেরিয়াকে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস প্রতিরোধে কাজে লাগানো হচ্ছে।
পরিকল্পিতভাবে পরীক্ষাগারে মশার শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া। এসব মশার সঙ্গে বাইরের পরিবেশে থাকা স্ত্রী মশার সংসর্গ ঘটার ফলে উৎপাদিত ডিমে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়ার মতো ভাইরাস থাকছে না। এই পদ্ধতিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘ওলবাচিয়া মেথড’।
সাফল্যের সম্ভাব্য হার
বিশ্বের ১২টি দেশে ইতোমধ্যে স্বাভাবিক পরিবেশে ওলবাচিয়া বাহিত বিশেষ মশা ছেড়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গেছে, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ ছড়ানোর প্রবণতা ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। ফলে আগামী দিনে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার মতো অধিকাংশ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে কার্যকর হবে ওলবাচিয়া মেথড।