ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রায়পুরায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo লালপুরে আ’লীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনায় প্রধান আসামি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান Logo রায়পুরাতে মুক্তি পাগলীর মাজারের ওরশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি Logo বাঘায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীরবাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo মাগুরাতে মুসলিম এইড বাংলাদেশ জিপিএ ৫ শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি প্রদান Logo ভিন্নগ্রহের ভালোবাসা Logo আলফাডাঙ্গায় অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন Logo রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা চেষ্টায় বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণঃ জনমনে আতঙ্ক Logo ফরিদপুরে কমরেড আতিয়ার রহমানের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo বাঘায় প্রতিটি দপ্তরকে আস্থার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে চান ইউএনওঃ রাতেও শীতার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন শীতবস্ত্র
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

এস-৪০০ পেতে মরিয়া ভারত, কী বলছে রাশিয়া?

-ফাইল ছবি।

রাশিয়ার তৈরি বিতর্কিত এস-৪০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত।মঙ্গলবার দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এতে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এস জয়শঙ্কর ও রাশিয়ার সের্গেই ল্যাভরব। বৈঠকে এস-৪০০ পেতে প্রশ্ন তোলেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দিল্লিতে বৈঠকের পর সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া।বৈঠক শেষে এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, পরের বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবে।

খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পরিকল্পনা রয়েছে এস-৪০০ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার কাছ থেকে ডিসেম্বরে বুঝে নেবে। তবে এতে তুরস্কের মতো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি ভারতের ওপর বেড়ে চলছে। রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জামাদি কেনার কারণে ২০১৭ সালে ভারতকে কোনো ছাড় দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন।তবে মার্কিন ওয়েবার আইন অনুযায়ী বাইডেন প্রশাসনও একই নীতি অবলম্বন করতে পারেন।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্তী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে ল্যাভরভ বলেন, আমরা সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।এ কাজ নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুবে এবং ভারতের মাটিতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য বাড়তি সরঞ্জাম উৎপাদনের সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।

জয়শঙ্কর বলেন, এস-৪০০ নিয়ে এ বছরের শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বৈঠকে বসবে।

ভারত রাশিয়ার মিগ যু্দ্ধবিমান এবং এসইউ-৩০ জেট তৈরি করে। এছাড়া দুই দেশ সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের মাটিতে সুপারসনিক ‘ব্রাক্ষ্মোস’ ক্রুজ মিসাইলের উন্নয়ন ও উৎপাদনে কাজ করছে।

ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার এই আলোচনা যদি ফলপ্রসু হয় তবে তা যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করবে।

ইউক্রেইন থেকে ক্রিমিয়া দখল এবং ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা বিভাগও ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।

এ বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশকে রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনায় নিরুৎসাহিত করতে চাইছে। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। বরং উভয়পক্ষ নিজেদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার দিকে অধিক মনযোগ দিয়েছে।

এদিকে, ওয়াশিংটন এরই মধ্যে দিল্লিকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাশিয়ার কাছ থেকে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনে তবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি
চুক্তি করে ভারত। এর অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে রাশিয়াকে প্রাথমিকভাবে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ মিসাইলের ব্যাটারির প্রথম সেট হাতে পাওয়ার আশা করছে ভারত।

জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা সময় পরীক্ষিত এবং উভয় পক্ষ এ বছরের শেষ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ঐহিত্যগতভাবে ভারত মূলত রাশিয়া থেকেই অস্ত্র কেনে। কিন্তু গত কয়েক বছরে দিল্লি যুদ্ধ হেলিকপ্টার, পরিবহণ বিমান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক নজরদারি সরঞ্জামের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দিকে ঘুরতে চাইছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

রায়পুরায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে শীতবস্ত্র বিতরণ

error: Content is protected !!

এস-৪০০ পেতে মরিয়া ভারত, কী বলছে রাশিয়া?

আপডেট টাইম : ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ :

রাশিয়ার তৈরি বিতর্কিত এস-৪০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত।মঙ্গলবার দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এতে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন এস জয়শঙ্কর ও রাশিয়ার সের্গেই ল্যাভরব। বৈঠকে এস-৪০০ পেতে প্রশ্ন তোলেন ভারতীয় কূটনীতিকরা।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দিল্লিতে বৈঠকের পর সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া।বৈঠক শেষে এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, পরের বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবে।

খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পরিকল্পনা রয়েছে এস-৪০০ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার কাছ থেকে ডিসেম্বরে বুঝে নেবে। তবে এতে তুরস্কের মতো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি ভারতের ওপর বেড়ে চলছে। রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জামাদি কেনার কারণে ২০১৭ সালে ভারতকে কোনো ছাড় দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন।তবে মার্কিন ওয়েবার আইন অনুযায়ী বাইডেন প্রশাসনও একই নীতি অবলম্বন করতে পারেন।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্তী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে ল্যাভরভ বলেন, আমরা সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।এ কাজ নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুবে এবং ভারতের মাটিতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য বাড়তি সরঞ্জাম উৎপাদনের সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে।

জয়শঙ্কর বলেন, এস-৪০০ নিয়ে এ বছরের শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বৈঠকে বসবে।

ভারত রাশিয়ার মিগ যু্দ্ধবিমান এবং এসইউ-৩০ জেট তৈরি করে। এছাড়া দুই দেশ সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের মাটিতে সুপারসনিক ‘ব্রাক্ষ্মোস’ ক্রুজ মিসাইলের উন্নয়ন ও উৎপাদনে কাজ করছে।

ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার এই আলোচনা যদি ফলপ্রসু হয় তবে তা যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করবে।

ইউক্রেইন থেকে ক্রিমিয়া দখল এবং ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা বিভাগও ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।

এ বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশকে রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনায় নিরুৎসাহিত করতে চাইছে। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। বরং উভয়পক্ষ নিজেদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার দিকে অধিক মনযোগ দিয়েছে।

এদিকে, ওয়াশিংটন এরই মধ্যে দিল্লিকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাশিয়ার কাছ থেকে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনে তবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি
চুক্তি করে ভারত। এর অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে রাশিয়াকে প্রাথমিকভাবে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে। এ বছরের শেষ নাগাদ মিসাইলের ব্যাটারির প্রথম সেট হাতে পাওয়ার আশা করছে ভারত।

জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা সময় পরীক্ষিত এবং উভয় পক্ষ এ বছরের শেষ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ঐহিত্যগতভাবে ভারত মূলত রাশিয়া থেকেই অস্ত্র কেনে। কিন্তু গত কয়েক বছরে দিল্লি যুদ্ধ হেলিকপ্টার, পরিবহণ বিমান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক নজরদারি সরঞ্জামের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দিকে ঘুরতে চাইছে।


প্রিন্ট