ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রায়পুরায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo লালপুরে আ’লীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনায় প্রধান আসামি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান Logo রায়পুরাতে মুক্তি পাগলীর মাজারের ওরশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি Logo বাঘায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীরবাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo মাগুরাতে মুসলিম এইড বাংলাদেশ জিপিএ ৫ শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি প্রদান Logo ভিন্নগ্রহের ভালোবাসা Logo আলফাডাঙ্গায় অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন Logo রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা চেষ্টায় বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণঃ জনমনে আতঙ্ক Logo ফরিদপুরে কমরেড আতিয়ার রহমানের ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo বাঘায় প্রতিটি দপ্তরকে আস্থার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে চান ইউএনওঃ রাতেও শীতার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন শীতবস্ত্র
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

টেক্সাসে বাংলাদেশি পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। -ছবিঃ সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা, বাবা, বোন ও নানিকে হত্যার পর ওই পরিবারের দুই সন্তান আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

দুই ভাই ‘সুইসাইড নোট’ রেখে গেছেন। এই নোট থেকে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারকে লজ্জা ও কষ্ট থকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দুই ভাই সবাইকে হত্যা করে নিজেরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
স্থানীয় সময় গত রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে নগরীর পাইন ব্লাফ ড্রাইভ এলাকার বাড়িটির দরজায় কড়া নাড়ে পুলিশ। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ কোনো ফোন কল পায়নি বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ওই পরিবারের এক বন্ধু তাঁদের ফোন করে পাচ্ছিলেন না। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই ঘরে ছয়জনের লাশ দেখতে পায়। বন্দুকের গুলিতে ছয়জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাড়িটি থেকে বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই-বোন ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), মা আইরিন ইসলাম (৫৬), বাবা তৌহিদুল ইসলাম (৫৪), তানভীর তৌহিদের নানি আলতাফুন্নেসা (৭৭)।

অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাই চারজনকে হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। মানসিক বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা এই কাজ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার আগে ফারহান তৌহিদ ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ ‘সুইসাইড নোট’ পোস্ট করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করেছি।’

ফারহান আরও লিখেছেন কীভাবে তিনি নবম শ্রেণি থেকে মানসিক হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর বড় ভাইও হতাশার সঙ্গে লড়াই করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফারহান লেখেন, তাঁর ভাই বলেছেন, ‘আমরা যদি এক বছরে সবকিছু ঠিক করতে না পারি, তবে আমরা নিজেদের ও পরিবারকে হত্যা করব।’

নিজেরা আত্মহত্যা করলে পরিবার লজ্জায় পড়বে। তাই লজ্জা ও কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্যদের হত্যা করে নিজেদের আত্মহত্যার কথা সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। সুইসাইড নোটে হত্যার পরিকল্পনার কথাও লেখা আছে।

মরদেহ উদ্ধারকারী অ্যালেন পুলিশের সার্জেন্ট জন ফেলটিকে বলেছেন, তিনি ২১ বছর ধরে শহরটিতে আছেন। এমন দুঃখজনক ঘটনার মুখোমুখি তিনি আগে কখনো হননি। পুরো ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার কোনো এক সময় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। মেডিকেল পরীক্ষার পর এ বিষয়ে জানা যাবে বলে নগরীর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ওই পরিবারের পরিচিত দিলারা হাসান বলেছেন, এমন কোনো ঘটনা এই পরিবারে ঘটতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাইরে থেকে পরিবারটিকে সুখী বলেই তাঁর মনে হয়েছে।

টেক্সাসে বসবাসরত অপর প্রবাসী মিজান রহমান বলেছেন, সব সময় হাসিখুশি থাকা পরিবারটিতে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনিও বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য ঘটনাটি মর্মান্তিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মর্মান্তিক ঘটনার শিকার বাংলাদেশি পরিবারটির কোনো নিকটাত্মীয় আশপাশে নেই। বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাশমত মোবীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফনের জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থানীয় সময় আগামীকাল বুধবার ছয়জনের জানাজার পর দাফন হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

হাশমত মোবীন জানান, প্রায় ২২ বছর আগে ডিভি ভিসায় তৌহিদুল ইসলাম আমেরিকায় আসেন। তৌহিদুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুনান ঢাকায়। পরিবার নিয়ে প্রথম দুই বছর নিউইয়র্কে ছিলেন। ২০ বছর আগে তাঁরা টেক্সাসে স্থানান্তর হন। প্রথমে তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করলেও সম্প্রতি সিটি ব্যাংকের ভালো পদে কাজ করছিলেন তৌহিদুল।

হাশমত মোবীন জানান, নিহত আইরিনের এক ভাই নিউইয়র্কে থাকেন। দুঃসংবাদ পেয়ে তিনি টেক্সাসের পথে রওনা দিয়েছেন। একইভাবে মায়ামিতে বসবাসরত তৌহিদুল ইসলামের ভাইও টেক্সাসের পথে রয়েছেন।

ডালাস ও আশপাশের নগরীতে বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশির প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস। হাশমত মোবীন জানান, কমিউনিটির নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ওই পরিবারকে জানতেন। ঘনিষ্ঠ লোকজন তৌহিদুল ইসলামের পরিবারকে আদর্শ বাংলাদেশি পরিবার বলেই জানতেন।
অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী তানভীর তৌহিদ আইনসম্মতভাবে সম্প্রতি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করেছিলেন।

শাওন আহসান নামের এক প্রবাসী জানান, তিনি পরিবারটিকে এক দশকের বেশি সময় থেকে জানেন। গত রোববার তিনি তৌহিদুল ইসলামকে ফোন করে কোনো সাড়া পাননি। ফিরতি কোনো ফোন কল না পেয়ে তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। গতকাল সোমবার আরেকজন প্রবাসী সংবাদটি দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শাওন আহসান। তিনি বলেন, তৌহিদুল ইসলাম তাঁর সন্তানদের নিয়ে সব সময় গর্ব করতেন। তাঁরা লেখাপড়াতেও ভালো করছিলেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

রায়পুরায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ভান্ডার হতে শীতবস্ত্র বিতরণ

error: Content is protected !!

টেক্সাসে বাংলাদেশি পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ :

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা, বাবা, বোন ও নানিকে হত্যার পর ওই পরিবারের দুই সন্তান আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

দুই ভাই ‘সুইসাইড নোট’ রেখে গেছেন। এই নোট থেকে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারকে লজ্জা ও কষ্ট থকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দুই ভাই সবাইকে হত্যা করে নিজেরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
স্থানীয় সময় গত রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে নগরীর পাইন ব্লাফ ড্রাইভ এলাকার বাড়িটির দরজায় কড়া নাড়ে পুলিশ। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশ কোনো ফোন কল পায়নি বলে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, ওই পরিবারের এক বন্ধু তাঁদের ফোন করে পাচ্ছিলেন না। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই ঘরে ছয়জনের লাশ দেখতে পায়। বন্দুকের গুলিতে ছয়জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাড়িটি থেকে বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই-বোন ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), মা আইরিন ইসলাম (৫৬), বাবা তৌহিদুল ইসলাম (৫৪), তানভীর তৌহিদের নানি আলতাফুন্নেসা (৭৭)।

অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাই চারজনকে হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। মানসিক বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা এই কাজ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার আগে ফারহান তৌহিদ ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ ‘সুইসাইড নোট’ পোস্ট করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করেছি।’

ফারহান আরও লিখেছেন কীভাবে তিনি নবম শ্রেণি থেকে মানসিক হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর বড় ভাইও হতাশার সঙ্গে লড়াই করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফারহান লেখেন, তাঁর ভাই বলেছেন, ‘আমরা যদি এক বছরে সবকিছু ঠিক করতে না পারি, তবে আমরা নিজেদের ও পরিবারকে হত্যা করব।’

নিজেরা আত্মহত্যা করলে পরিবার লজ্জায় পড়বে। তাই লজ্জা ও কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্যদের হত্যা করে নিজেদের আত্মহত্যার কথা সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। সুইসাইড নোটে হত্যার পরিকল্পনার কথাও লেখা আছে।

মরদেহ উদ্ধারকারী অ্যালেন পুলিশের সার্জেন্ট জন ফেলটিকে বলেছেন, তিনি ২১ বছর ধরে শহরটিতে আছেন। এমন দুঃখজনক ঘটনার মুখোমুখি তিনি আগে কখনো হননি। পুরো ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার কোনো এক সময় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। মেডিকেল পরীক্ষার পর এ বিষয়ে জানা যাবে বলে নগরীর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ওই পরিবারের পরিচিত দিলারা হাসান বলেছেন, এমন কোনো ঘটনা এই পরিবারে ঘটতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাইরে থেকে পরিবারটিকে সুখী বলেই তাঁর মনে হয়েছে।

টেক্সাসে বসবাসরত অপর প্রবাসী মিজান রহমান বলেছেন, সব সময় হাসিখুশি থাকা পরিবারটিতে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনিও বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য ঘটনাটি মর্মান্তিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মর্মান্তিক ঘটনার শিকার বাংলাদেশি পরিবারটির কোনো নিকটাত্মীয় আশপাশে নেই। বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছে। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাশমত মোবীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফনের জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থানীয় সময় আগামীকাল বুধবার ছয়জনের জানাজার পর দাফন হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

হাশমত মোবীন জানান, প্রায় ২২ বছর আগে ডিভি ভিসায় তৌহিদুল ইসলাম আমেরিকায় আসেন। তৌহিদুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুনান ঢাকায়। পরিবার নিয়ে প্রথম দুই বছর নিউইয়র্কে ছিলেন। ২০ বছর আগে তাঁরা টেক্সাসে স্থানান্তর হন। প্রথমে তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করলেও সম্প্রতি সিটি ব্যাংকের ভালো পদে কাজ করছিলেন তৌহিদুল।

হাশমত মোবীন জানান, নিহত আইরিনের এক ভাই নিউইয়র্কে থাকেন। দুঃসংবাদ পেয়ে তিনি টেক্সাসের পথে রওনা দিয়েছেন। একইভাবে মায়ামিতে বসবাসরত তৌহিদুল ইসলামের ভাইও টেক্সাসের পথে রয়েছেন।

ডালাস ও আশপাশের নগরীতে বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশির প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস। হাশমত মোবীন জানান, কমিউনিটির নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ওই পরিবারকে জানতেন। ঘনিষ্ঠ লোকজন তৌহিদুল ইসলামের পরিবারকে আদর্শ বাংলাদেশি পরিবার বলেই জানতেন।
অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী তানভীর তৌহিদ আইনসম্মতভাবে সম্প্রতি আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করেছিলেন।

শাওন আহসান নামের এক প্রবাসী জানান, তিনি পরিবারটিকে এক দশকের বেশি সময় থেকে জানেন। গত রোববার তিনি তৌহিদুল ইসলামকে ফোন করে কোনো সাড়া পাননি। ফিরতি কোনো ফোন কল না পেয়ে তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। গতকাল সোমবার আরেকজন প্রবাসী সংবাদটি দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শাওন আহসান। তিনি বলেন, তৌহিদুল ইসলাম তাঁর সন্তানদের নিয়ে সব সময় গর্ব করতেন। তাঁরা লেখাপড়াতেও ভালো করছিলেন।


প্রিন্ট