ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুগঞ্জ বাজারে শারিরীক প্রতিবন্ধীর ঘর ভাড়াটিয়ার দখলে নেওয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভোক্তভোগী পরিবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, স্থানীয় বিষ্ণরামপুর এলাকার শারিরীক প্রতিবন্ধী আঃ কদ্দুস প্রতিবেশী বাছেদ আলী আকন্দের কাছ থেকে বছর খানেক পূর্বে ২লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যে স্ট্যাম্পমূলে বাবুগঞ্জ বাজারে একটি ঘর ক্রয় করেন। এ ঘরটি সাবেক মালিক বাছেদ আলী আকন্দ জনৈক জাকারিয়া এর নিকট ভাড়া দেন। সে সেখানে কসমেটিকস এর দোকান পরিচালনা করতেন৷
চুক্তি অনুযায়ী ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং ঘরটি ভাড়া নেওয়া জাকারিয়া প্রবাসে চলে যাওয়ায় মির্জা ঐক্য পরিষদ নামে ক্লাবের লোকজন ফজলুল মির্জার মাধ্যমে ঘরটি ভাড়া নেওয়ার আবেদন জানান। তাঁদের দাবি অনুযায়ী বর্তমান মালিক শারিরীক প্রতিবন্ধী আঃ কদ্দুস সরল বিশ্বাসে ঘরটি ক্লাব সদস্য ফজলুল হক মির্জার নিকট ভাড়া দেন। সে অনুযায়ী ৩ মাস পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করেন তিনি। হঠাৎ করে ঘরটি তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেইসাথে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভাড়া দেওয়া। শুরু হয় নানান টালবাহানা। ঘর বেদখলের পায়তারা নিয়ে দানা বাঁধে উভয়ের মাঝে। যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফজলুল হক মির্জা জানান, ঘরটি জাকারিয়ার নামে ডিট (চুক্তি) করা। সে বিদেশে চলে গেছে। এখন জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব তাই ভাড়া দেই না।
শারিরীক প্রতিবন্ধী আঃ কদ্দুস বলেন, আমি একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। দখলসত্ত্বে আমি ঘরটি স্ট্যাম্পমূলে কিনেছি। আগের মালিকের ভাড়াটিয়ার মেয়াদ শেষ হতে ২০২২ ইং সালে ৪ মাস বাকি ছিল। তখন ভাড়াটিয়ারা বলে আমরা এ ৪ মাস থেকে জানুয়ারি মাসে চলে যাবো এবং আপনাকে ভাড়া দিয়ে দিবো । এই মৌখিক চুক্তিতে তাদের ঘর দেই। পরে জানুয়ারি মাস আসলে তারা আর ভাড়াও দেয় না ঘরও ছাড়ে না। এখন তারা ঘরটি বেদখলের পায়তারা করছে। বাজারে আরও ঘর থাকলেও ওরা আমাকে দুর্বল পেয়ে আমার উপার্জনে হাত দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। আমি একজন প্রতিবন্ধী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
- আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ বারেক বলেন, ঐ ঘরটি মির্জা ঐক্য পরিষদ ভাড়া নিয়েছে। দখল সত্ত্বে ঘরটির মালিক আ. কদ্দুস। ক্লাবের লোকজন এখন বেদখলের পায়তারা করছে এটি খুবই অমানবিক ও দুঃখ জনক।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মুক্তা চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমার নিকট একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঐ জমিটুকু নাকি খাস এমন গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। নায়েব সাহেব আসছিল জমি মেপে এলাকাবাসী নিয়ে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রিন্ট