ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী ‌ ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগ ‌ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মহাসড়কে চালু হচ্ছে ডিজিটাল অটোফাইন সিস্টেম

বেপরোয়া গতি রোধ ও দুর্ঘটনার হার কমানোর লক্ষ্য অটোমেটিক ডিটেকশন ব্যবস্থা চালুরও প্রস্তাব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জন্য পাইলট প্রকল্প প্রস্তাবনা

মহাসড়কে গাড়ির বেপরোয়া গতি রোধে এবং দুর্ঘটনার হার কমাতে চালু হচ্ছে ‘ডিজিটাল অটোফাইন সিস্টেম’। প্রস্তাব করা হয়েছে ‘অটোমেটিক ডিটেকশন ব্যবস্থা’ চালুর। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিস্টেম চালু হলে অটো ফাইন দেওয়ার ভয় থাকার পাশাপাশি কোনো চালক যখন বুঝতে পারবেন যে, তিনি নজরদারিতে রয়েছেন তখন তিনি নির্ধারিত গতির বাইরে গিয়ে গাড়ি চালাবেন না। এছাড়া উল্টো পথে গাড়ি চলাচলেরও সুযোগ থাকবে না।

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। শুধু ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক নয়, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা এবং ডাকাতির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো অনেকটাই সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসানোর কাজে বেশ কিছু পরিবর্তন আনছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাইওয়ে পুলিশ এরই মধ্যে সংশোধিত প্রস্তাবনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।

জানা গেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বেপরোয়া গতি ঠেকাতে অটোমেটিক ডিটেকশন ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এ ব্যবস্থায় বেপরোয়া গতির গাড়িগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলার আওতায় চলে আসবে। এমনকি দায়ের করা মামলার তথ্য গাড়ির মালিকের মোবাইল ফোনে চলে যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাবনাগুলো পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কাজ করবে হাইওয়ে পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এখন প্রকল্প সংশোধনের কাজ যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। ‘ডিজিটাল অটোফাইন সিস্টেম’ নামে একটি অ্যাপ এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। নির্ধারিত গতিসীমার বেশি গতিতে অর্থাৎ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে সেই গাড়ির বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরিমানা বা মামলা হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কে নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী সিসিটিভি স্থাপন করা হবে, যা মহাসড়কের প্রতিটি জায়গাকে দিনে ও রাতে নিরাপদ রাখবে। দিন ও রাত বিবেচনায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৯০টি লোকেশনে বিভিন্ন ধরনের ১৪২৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে। ব্যবহার করা হবে পিটিজেড ড্রোন ক্যামেরা, লং ভিশন ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, প্রিটি জেড সলস্প্রে ক্যামেরা, চেকপয়েন্ট ক্যামেরা। কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিওন, গাজীপুর রিজিওন, দাউদকান্দি ও চট্টগ্রামের বারো আউলিয়ায় মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। মূল কমান্ড সেন্টার থাকবে মেঘনা ঘাটে। ফলে স্থানীয়ভাবে এবং হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতর থেকেও মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলো তদারক করা যাবে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে কেউ গাড়ি চালালে সড়কে বসানো ডিটেক্টেড মেশিনের মাধ্যমে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাবে। একইসঙ্গে মামলার বিষয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির মালিকের কাছে এসএমএস চলে যাবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

মহাসড়কে চালু হচ্ছে ডিজিটাল অটোফাইন সিস্টেম

আপডেট টাইম : ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

মহাসড়কে গাড়ির বেপরোয়া গতি রোধে এবং দুর্ঘটনার হার কমাতে চালু হচ্ছে ‘ডিজিটাল অটোফাইন সিস্টেম’। প্রস্তাব করা হয়েছে ‘অটোমেটিক ডিটেকশন ব্যবস্থা’ চালুর। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিস্টেম চালু হলে অটো ফাইন দেওয়ার ভয় থাকার পাশাপাশি কোনো চালক যখন বুঝতে পারবেন যে, তিনি নজরদারিতে রয়েছেন তখন তিনি নির্ধারিত গতির বাইরে গিয়ে গাড়ি চালাবেন না। এছাড়া উল্টো পথে গাড়ি চলাচলেরও সুযোগ থাকবে না।

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। শুধু ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক নয়, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা এবং ডাকাতির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো অনেকটাই সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় আড়াইশ কিলোমিটার রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসানোর কাজে বেশ কিছু পরিবর্তন আনছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাইওয়ে পুলিশ এরই মধ্যে সংশোধিত প্রস্তাবনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।

জানা গেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বেপরোয়া গতি ঠেকাতে অটোমেটিক ডিটেকশন ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এ ব্যবস্থায় বেপরোয়া গতির গাড়িগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলার আওতায় চলে আসবে। এমনকি দায়ের করা মামলার তথ্য গাড়ির মালিকের মোবাইল ফোনে চলে যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাবনাগুলো পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কাজ করবে হাইওয়ে পুলিশ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এখন প্রকল্প সংশোধনের কাজ যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। ‘ডিজিটাল অটোফাইন সিস্টেম’ নামে একটি অ্যাপ এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। নির্ধারিত গতিসীমার বেশি গতিতে অর্থাৎ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে সেই গাড়ির বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরিমানা বা মামলা হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কে নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী সিসিটিভি স্থাপন করা হবে, যা মহাসড়কের প্রতিটি জায়গাকে দিনে ও রাতে নিরাপদ রাখবে। দিন ও রাত বিবেচনায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৯০টি লোকেশনে বিভিন্ন ধরনের ১৪২৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে। ব্যবহার করা হবে পিটিজেড ড্রোন ক্যামেরা, লং ভিশন ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, প্রিটি জেড সলস্প্রে ক্যামেরা, চেকপয়েন্ট ক্যামেরা। কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিওন, গাজীপুর রিজিওন, দাউদকান্দি ও চট্টগ্রামের বারো আউলিয়ায় মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। মূল কমান্ড সেন্টার থাকবে মেঘনা ঘাটে। ফলে স্থানীয়ভাবে এবং হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতর থেকেও মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলো তদারক করা যাবে।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে কেউ গাড়ি চালালে সড়কে বসানো ডিটেক্টেড মেশিনের মাধ্যমে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাবে। একইসঙ্গে মামলার বিষয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির মালিকের কাছে এসএমএস চলে যাবে।


প্রিন্ট