ঢাকা , সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঢাকায় সমাবেশ উপলক্ষে কালুখালীতে যুবদলের প্রস্তুতি সভা Logo রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের বেদখল রাস্তা ১৬ বছর পর সীমানা প্রাচীর ভেঙে উদ্ধার Logo শ্যামনগরে নারী কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রশিক্ষণ Logo বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক Logo বাঘায় বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষঃ চিকিৎসাধীন আহত ৩ জনের ১ জন মারা গেছে Logo বোয়ালমারীতে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন Logo যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক জামিল বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটক Logo মুকসুদপুরে উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙ্গে দেওয়া হলো দোকানসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব Logo ফরিদপুর ‌জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুমারখালীতে ট্রাক্টরের চাপায় মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উন্নয়নশীল দেশ হলেও অস্ট্রেলিয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

-ছবিঃ সংগৃহীত।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্স।

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রী এই কথা বলেন।

সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সিডনির কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অফিসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কটন, উল, এলএনজি, অর্থনৈতিক প্রযুক্তি (ফিনটেক), তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা (আইটিইএস) এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে। হাইকমিশনার অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাসহ বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।

বৈঠকে আরও অংশ নেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাসহ শ্রমিকদের কল্যাণার্থে এ খাতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত সংস্কারমূলক কর্মসূচি এবং অধিক গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপন, নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিতকরণ, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজিএমইএ’র ইএসজি অর্জনের লক্ষ্যের বিষয়টিও তিনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

টিম আয়ার্স বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য এবং সরকারের সম্পৃক্ততার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো টেকসই শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রমিক সংগঠন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উল ও কটন শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশের ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টকে (টিফা) পরবর্তী স্তরে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন টিম আয়ার্স।

বর্তমানে বিজিএমইএ’র ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন এবং গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় মেলবোর্নে তৈরি পোশাক শিল্প বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এছাড়া শুক্রবার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যৌথভাবে এক সভার আয়োজন করে। এতে সিডনিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সক্ষমতাকে তুলে ধরা হয়। এ সভায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা, ব্র্যান্ড ও শিল্প প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ঢাকায় সমাবেশ উপলক্ষে কালুখালীতে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

error: Content is protected !!

উন্নয়নশীল দেশ হলেও অস্ট্রেলিয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্স।

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রী এই কথা বলেন।

সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সিডনির কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অফিসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কটন, উল, এলএনজি, অর্থনৈতিক প্রযুক্তি (ফিনটেক), তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত সেবা (আইটিইএস) এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে। হাইকমিশনার অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাসহ বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।

বৈঠকে আরও অংশ নেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দক্ষ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা এবং উৎপাদনশীলতাসহ শ্রমিকদের কল্যাণার্থে এ খাতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত সংস্কারমূলক কর্মসূচি এবং অধিক গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপন, নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিতকরণ, উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিজিএমইএ’র ইএসজি অর্জনের লক্ষ্যের বিষয়টিও তিনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

টিম আয়ার্স বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য এবং সরকারের সম্পৃক্ততার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো টেকসই শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রমিক সংগঠন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উল ও কটন শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশের ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টকে (টিফা) পরবর্তী স্তরে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন টিম আয়ার্স।

বর্তমানে বিজিএমইএ’র ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন এবং গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় মেলবোর্নে তৈরি পোশাক শিল্প বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করেন। এছাড়া শুক্রবার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যৌথভাবে এক সভার আয়োজন করে। এতে সিডনিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সক্ষমতাকে তুলে ধরা হয়। এ সভায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা, ব্র্যান্ড ও শিল্প প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রিন্ট