ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী Logo কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন! Logo কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিটু সুমন ও টুকটুকি বিজয়ী Logo ফরিদপুর তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা Logo তানোরে চেয়ারম্যান পদে ময়না, ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর রেজা ও সোনিয়া নির্বাচিত Logo বাঘায় তিরস্কারমূূলক কথা বলার জেরে মারধর, আহত-৪ Logo নলছিটিতে চোরাই অটোরিকশাসহ আটক -২ Logo তীব্র গরমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী Logo কুষ্টিয়া বিএডিসি (সার) অফিসের এডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo কুষ্টিয়া ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাঃ আচরণ‌বি‌ধি লঙ্ঘ‌নের অ‌ভি‌যো‌গে কাউন্সিলর আটক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ক্ষেপণাস্ত্রের ‘কঠিন জ্বালানি’ যেভাবে তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া গতকাল বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াসং এইটটিন আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। সীমিত প্রস্তুতিতেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব। কারণ, এতে ব্যবহার করা হয়েছে সলিড ফুয়েল বা কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তি। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র–ব্যবস্থার উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তি কী

মূলত জ্বালানি ও অক্সিডাইজারের মিশ্রণে তৈরি হয় কঠিন জ্বালানি। ধাতব গুঁড়া, যেমন অ্যালুমিনিয়াম জ্বালানির কাজ করে এবং অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট, যা মূলত পারক্লোরিক অ্যাসিডের লবণ ও অ্যামোনিয়া সবচেয়ে প্রচলিত অক্সিডাইজার। এই জ্বালানি ও অক্সিডিজাইরকে কোনো রাবারজাতীয় শক্ত পদার্থ দিয়ে একীভূত করা হয় এবং একটি ধাতব কাঠামোর মধ্যে ভর্তি করা হয়।

যখন কঠিন চালিকা শক্তি পোড়ে, অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট থেকে অক্সিজেন অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে মিশে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে এবং তাপমাত্রা ৫ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে, যেটা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য যথেষ্ট।

কার কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে

শত শত বছর আগে চীনারা যখন আতশবাজি আবিষ্কার করে, তখনই কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তির জন্ম। তবে বিশ শতকের মাঝামাঝি এসে এ প্রযুক্তিতে নাটকীয় উন্নতি ঘটে, যখন যুক্তরাষ্ট্র আরও শক্তিশালী চালিকা শক্তি উদ্ভাবন করে। উত্তর কোরিয়া স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

সত্তরের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম কঠিন জ্বালানির আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আরটি–টু ব্যবহার করে। এরপর ফ্রান্স উদ্ভাবন করে এস থ্রি, যা মধ্যমপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। চীন নব্বইয়ের দশকের শেষে এসে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরু করে।

কঠিন-তরলের লড়াই

তরল চালক বেশি উত্তোলন শক্তি উৎপাদন করলেও এর প্রযুক্তি জটিল এবং ওজনও বেশি। কঠিন জ্বালানি ঘন এবং দ্রুত পোড়ে। এর ফলে অল্প সময়ে উত্তোলনশক্তি তৈরি হয়। কঠিন জ্বালানি কোনো ক্ষয় ছাড়াই দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা সম্ভব।

মার্কিন অস্ত্রবিশেষজ্ঞ ভন ভ্যান ডিপেন বলেন, কঠিন জ্বালানি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র সহজে ও নিরাপদে পরিচালনা করা সম্ভব। এতে কম কারিগরি সহায়তার প্রয়োজন হয়। ফলে সহজে ধরা পড়ে না।

উত্তর কোরিয়া বলছে, নতুন কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তির আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের ফলে তাদের পাল্টা পারমাণবিক হামলা সক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে। -রয়টার্স

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী

error: Content is protected !!

ক্ষেপণাস্ত্রের ‘কঠিন জ্বালানি’ যেভাবে তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

উত্তর কোরিয়া গতকাল বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াসং এইটটিন আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। সীমিত প্রস্তুতিতেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব। কারণ, এতে ব্যবহার করা হয়েছে সলিড ফুয়েল বা কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তি। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র–ব্যবস্থার উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তি কী

মূলত জ্বালানি ও অক্সিডাইজারের মিশ্রণে তৈরি হয় কঠিন জ্বালানি। ধাতব গুঁড়া, যেমন অ্যালুমিনিয়াম জ্বালানির কাজ করে এবং অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট, যা মূলত পারক্লোরিক অ্যাসিডের লবণ ও অ্যামোনিয়া সবচেয়ে প্রচলিত অক্সিডাইজার। এই জ্বালানি ও অক্সিডিজাইরকে কোনো রাবারজাতীয় শক্ত পদার্থ দিয়ে একীভূত করা হয় এবং একটি ধাতব কাঠামোর মধ্যে ভর্তি করা হয়।

যখন কঠিন চালিকা শক্তি পোড়ে, অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট থেকে অক্সিজেন অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে মিশে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করে এবং তাপমাত্রা ৫ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে, যেটা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য যথেষ্ট।

কার কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে

শত শত বছর আগে চীনারা যখন আতশবাজি আবিষ্কার করে, তখনই কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তির জন্ম। তবে বিশ শতকের মাঝামাঝি এসে এ প্রযুক্তিতে নাটকীয় উন্নতি ঘটে, যখন যুক্তরাষ্ট্র আরও শক্তিশালী চালিকা শক্তি উদ্ভাবন করে। উত্তর কোরিয়া স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

সত্তরের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম কঠিন জ্বালানির আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আরটি–টু ব্যবহার করে। এরপর ফ্রান্স উদ্ভাবন করে এস থ্রি, যা মধ্যমপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। চীন নব্বইয়ের দশকের শেষে এসে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরু করে।

কঠিন-তরলের লড়াই

তরল চালক বেশি উত্তোলন শক্তি উৎপাদন করলেও এর প্রযুক্তি জটিল এবং ওজনও বেশি। কঠিন জ্বালানি ঘন এবং দ্রুত পোড়ে। এর ফলে অল্প সময়ে উত্তোলনশক্তি তৈরি হয়। কঠিন জ্বালানি কোনো ক্ষয় ছাড়াই দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা সম্ভব।

মার্কিন অস্ত্রবিশেষজ্ঞ ভন ভ্যান ডিপেন বলেন, কঠিন জ্বালানি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র সহজে ও নিরাপদে পরিচালনা করা সম্ভব। এতে কম কারিগরি সহায়তার প্রয়োজন হয়। ফলে সহজে ধরা পড়ে না।

উত্তর কোরিয়া বলছে, নতুন কঠিন জ্বালানি প্রযুক্তির আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের ফলে তাদের পাল্টা পারমাণবিক হামলা সক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে। -রয়টার্স