দেশে প্রথম ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। প্ল্যান্টটি গোপালগঞ্জে প্রায় ৯ একর জায়গায় স্থাপিত হবে। এর জন্য জায়গাও অধিগ্রহণ করা হয়ে গেছে। এখানে করোনা ভ্যাকসিনসহ প্রায় ১৩ রকমের ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে।
গতকাল বুধবার এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ এমওইউ সই হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশ এ মানের ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে। আমরাও উৎপাদনে চলে গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভ্যাকসিন রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারব।
এমওইউর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল, এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডকে ভ্যাকসিন উৎপাদন সংরক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এটা একটি অত্যাধুনিক প্ল্যান্ট হবে। শুধু করোনা ভ্যাকসিন নয়, অন্যান্য ভ্যাকসিন যেগুলো বাংলাদেশের প্রয়োজন, সেগুলোও এখানে তৈরি করতে পারবে। করোনার সময় আমাদের ৩৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ভিত্তি করে যদি তার মূল্য ধরা হয়, তাহলে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন পেয়েছি। আমরা বেশিরভাগ ফ্রি পেয়েছি। বাকিটা সরকারের অর্থায়নে কেনা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এ প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জে স্থাপন করছি। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পাশে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ৭-৮ একর জমিতে এ প্ল্যান্ট হবে। এখানে যে ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে, তা আন্তর্জাতিক মানের হবে। আশা করি আমরা বিদেশে এ ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আশা করছি দুই বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে পারব। পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করতে চার বছরের মতো লাগবে। এ প্রজেক্ট পুরোপুরি সফল হলে আমাদের ভ্যাকসিন আমদানির প্রয়োজন হবে না।
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক এমালফার্ব সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট