ঢাকা , রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুর গাছে ঝুলছিল বাকপ্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ Logo বালিয়াকান্দিতে মনি মুকুর কিন্ডার গার্টেনের দুই দিনব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন Logo বোয়ালমারীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত Logo দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৭ বাংলাদেশী আটক Logo ফরিদপুরে ৩১ দফার সমর্থনে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল Logo শিবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা করল বিএসএফ Logo রতনদিয়া ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন সিরাজুল সভাপতিঃ আক্তার সাধারন সম্পদক Logo রায়পুরায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, গুলিতে নারী নিহত Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে লিফলেট বিতরণের অভিযোগে জেলা যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo ফরিদপুর-৪ আসনের বিভিন্ন মাদরাসায় মাওলানা মিজান মোল্লার অনুদান প্রদান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

২০৩৬ সাল পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির করছাড়

-ছবিঃ প্রতীকী।

বিদ্যুৎ খাতে স্বনির্ভর হতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিভিন্ন সুযোগ দিয়েছে সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হলো কর অব্যাহতি। আগে এ সুযোগ নির্ধারিত সময়ের জন্য দেওয়া হতো। তবে, এবার নতুন-পুরোনো সবধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একযোগে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর করছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ ছাড়া করছাড় পেতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে আগামী ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্জিত আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এর আগে ২০৩৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের যেসব প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ব্যতীত) বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শুরু হবে, সেসব কোম্পানির কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবসায় অর্জিত আয়ের ওপর উৎপাদনের তারিখ থেকে ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোনো কর দেওয়া লাগবে না।

আরও বলা হয়, এ ছাড়া কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ের ওপর, বাংলাদেশে তাদের আসার দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর কর প্রযোজ্য হবে না। কোম্পানি থেকে গৃহীত বৈদেশিক ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ওপর কোনো করারোপ হবে না। কোম্পানি থেকে প্রদেয় রয়্যালটিস, টেকনিক্যাল নো-হাও অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফির ওপর কর দিতে হবে না। এ ছাড়া কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ফলে উদ্ভূত মূলধনি মুনাফার ওপরও কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে আসবে, সেসব কোম্পানিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এর পরবর্তী তিন বছর অর্ধেক এবং তার পরবর্তী দুই বছর ২৫ শতাংশ হারে আয়ের ওপর করছাড় পাবে তারা। তবে উভয় ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোকে যথাযথভাবে হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশে নির্ধারিত সব শর্ত পূরণসাপেক্ষে ওই পলিসিতে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিচালিত হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দৌলতপুর গাছে ঝুলছিল বাকপ্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ

error: Content is protected !!

২০৩৬ সাল পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির করছাড়

আপডেট টাইম : ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

বিদ্যুৎ খাতে স্বনির্ভর হতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিভিন্ন সুযোগ দিয়েছে সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হলো কর অব্যাহতি। আগে এ সুযোগ নির্ধারিত সময়ের জন্য দেওয়া হতো। তবে, এবার নতুন-পুরোনো সবধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একযোগে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর করছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এ ছাড়া করছাড় পেতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে আগামী ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্জিত আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এর আগে ২০৩৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের যেসব প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ব্যতীত) বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শুরু হবে, সেসব কোম্পানির কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবসায় অর্জিত আয়ের ওপর উৎপাদনের তারিখ থেকে ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোনো কর দেওয়া লাগবে না।

আরও বলা হয়, এ ছাড়া কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ের ওপর, বাংলাদেশে তাদের আসার দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর কর প্রযোজ্য হবে না। কোম্পানি থেকে গৃহীত বৈদেশিক ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ওপর কোনো করারোপ হবে না। কোম্পানি থেকে প্রদেয় রয়্যালটিস, টেকনিক্যাল নো-হাও অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফির ওপর কর দিতে হবে না। এ ছাড়া কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ফলে উদ্ভূত মূলধনি মুনাফার ওপরও কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে আসবে, সেসব কোম্পানিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এর পরবর্তী তিন বছর অর্ধেক এবং তার পরবর্তী দুই বছর ২৫ শতাংশ হারে আয়ের ওপর করছাড় পাবে তারা। তবে উভয় ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোকে যথাযথভাবে হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশে নির্ধারিত সব শর্ত পূরণসাপেক্ষে ওই পলিসিতে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিচালিত হবে।


প্রিন্ট