আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ আসন। এই আসনে ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বিএনপির তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা,ছালেক চৌধুরীর নাম।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯০১ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৯৬ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ৫ জন। এর মধ্যে নিয়ামতপুরে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ জন, পোরশায় এক লাখ ৫ হাজার ২০৬ এবং সাপাহারে এক লাখ ৩৫ হাজার ৩৫৭ জন। এই সংসদীয় আসনে আসন্ন ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির সব হিসাব- নিকাশ পাল্টে গেছে। বিএনপির তৃণমুল সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা, ছালেক চৌধুরীকে নিয়েই ভোট করতে চাই।আর তাদের এই প্রত্যাশার কথা তারা দলের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছেও পৌঁছে দিয়েছেন।
নওগাঁ-১ আসনে বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ সাবেক এমপি ছালেক চৌধুরীকে সম্ভাব্য প্রার্থী ধরে নিয়েই নির্বাচনী মাঠে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে জম্পেশ প্রচার-প্রচারণার মধ্যদিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছালেক চৌধুরীর বিশাল কর্মী বাহিনী বিএনপির উন্নয়ন-অর্জনের চিত্র ও তার যোগ্যতা তুলে ধরে এলাকার সাধারণ ভোটারদের দৌড়-গোড়ায় গিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অভিজ্ঞ ও মেধাবী নেতৃত্ব ছালেক চৌধুরী এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে দলের নীতিনির্ধারণী মহলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি পরপর তিনবার এমপি নির্বাচিত হবার পরে রাজনীতিতেও কৌশল ও পরিপক্কতা (বিচক্ষনতা) অর্জন করেছেন। আর তাই পরীক্ষিত ও লড়াকু এই নেতাকে (নেতৃত্ব) বঞ্চিত করে নতুন কাউকে মনোনয়ন দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইবেন না দলের হাইকমান্ড বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, চেনা পথ দুর ভাল। ছালেক চৌধুরী চেনা পথ,এখানে নতুন কাউকে দেয়া হলে তার পথ চিনতেই অনেক সময় পেরিয়ে যাবে। এতে এলাকার উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হবে,তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চেনা পথ ছালেক চৌধুরীর কোনো বিকল্প নাই।
জানা গেছে, বিএনপির সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা, ছালেক চৌধুরী ১৯৪৫ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। সাবেক সাংসদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা, ছালেক চৌধুরী একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) সংসদীয় আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হয়ে ৬ষ্ঠ,৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটানা তিনবার বিজয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ফলাফল ঘোষণায় তিনি পরাজিত হন। তার কর্মী-সমর্থকদের দাবি তিনি পরাজিত হননি,তাকে পরাজিত করা হয়েছিলো।
প্রিন্ট