রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
নাটোরের লালপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার হওয়া মো. সোহাগ হোসেন সুইট (২১) নামে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই ২০২৫) তাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটক প্রধান আসামি হলেন মো. হাসিবুল ইসলাম সুমন (৩৫)। তিনি উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মধুবাড়ি রহমপাড়া মহল্লার মো. হারেজ উদ্দিনের ছেলে।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বিজয়পুর-চকনাজিরপুর গ্রামীণ সড়কের পাশে চকিদার মোড় এলাকা থেকে সুইটের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর রহিম বাদি হয়ে মো. হাসিবুল ইসলাম সুমনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. হাসিবুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১০টার দিকে সুইট তার বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। তখন তিনি গোপালপুর বাজারে ছিলেন বলে জানান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। সোমবার (২১ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে বিজয়পুর-চকনাজিরপুর গ্রামীণ সড়কের পাশে একটি স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পাশের পাটক্ষেতে সুইটের বাবা তার ছেলের মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মো. সোহাগ হোসেন সুইট উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বিজয়পুর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সমর্থিত বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
প্রিন্ট